ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান মোল্লার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তিনি প্রতিবেশী মো. সাগরকে নিয়ে ঢাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। কেনাকাটা শেষে গুলিস্তানে এসেছেন নতুন টাকা কিনতে। তিনি বলেন, ‘ঈদে বাচ্চারা নতুন টাকা পেলেই খুশি হয়। ওদের খুশি দেখলে ভালো লাগে।’
মিজানুর রহমান ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট কিনবেন। টাকা বিক্রেতা এক হাজার টাকার নতুন নোটের জন্য ১৫০ টাকা বেশি চাচ্ছেন। মিজানুর এই টাকায় কিনতে রাজি হননি। পরে তিনি আরেকজন বিক্রেতার কাছে চলে যান।
ঈদ সামনে রেখে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের (সাবেক গুলিস্তান সিনেমা হল) সামনে নতুন টাকা বিক্রি জমে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে ভিড় বেড়েছে।
সারা বছর সাধারণত নতুন ১০০ টাকার একটি বান্ডিল (এক হাজার টাকা) নিতে ৭০-৮০ টাকা বেশি দিতে হয়। তবে এখন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
গুলিস্তানের টাকা বিক্রেতারা ২, ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করেন। এক বান্ডিলের নিচে নতুন নোট বিক্রি হয় না। দুই টাকার এক বান্ডিল থাকে ২০০ টাকা। ২ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট নিতে হলে বিক্রেতাকে ৫০ টাকা বেশি অর্থাৎ ২৫০ টাকা দিতে হয়। ৫ টাকার এক বান্ডিলের জন্য এক থেকে দেড় শ টাকা বেশি দিতে হয় ক্রেতাদের। ১০ টাকার এক বান্ডিল নিতে হলে দিতে হবে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা। ২০ টাকার এক বান্ডিলে থাকে ২ হাজার টাকা। ২০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিকাচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। ৫০ টাকার এক বান্ডিলে থাকে ৫ হাজার টাকা থাকে। এই এক বান্ডিল নতুন নোট নিতে হলে ক্রেতাকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। ১০০ টাকার এক বান্ডিল নোট নিতে বাড়তি গুনতে হবে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা।
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের বাসিন্দা মো. আহাদুজ্জামান ৫ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট নিয়েছেন ৮০ টাকা বেশি দিয়ে। ব্যাংকে না গিয়ে এই জায়গা থেকে কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক সময় নতুন টাকা দিতে চায় না। আবার অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর এখানে এলেই নতুন নোট পাওয়া যায়।
নতুন নোটের একজন বিক্রেতা বললেন, ব্যাংকের কর্মীদের মাধ্যমে তাঁরা নতুন নোট সংগ্রহ করেন।