
করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হলেও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই (আইসিইউ) আছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তাঁর অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয় দফায় পর্যবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষে কাল বৃহস্পতিবার তাঁর চিকিৎসায় নতুন সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড।
আজ বুধবার রাতে এমনটাই জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবস্থা স্থিতিশীল আছে। কাল হাসপাতালে গিয়ে তাঁর অবস্থা দেখা হবে। তবে পরিবার চাইলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নিতে পারে।
নাসিমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে তাদের। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মেনে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় খোঁজ নিতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেয় মেডিকেল বোর্ড।
এর মধ্যে গত সোম ও মঙ্গলবার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে মোহাম্মদ নাসিমের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক রাজিউল হককে ফোন করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।