
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৬ মে (শুক্রবার) নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধকালে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের অনন্য উদ্যোগের স্মরণে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ কনসার্ট উপলক্ষে নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এ কনসার্ট হবে। এরই মধ্যে কনসার্টের চার হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। কনসার্ট থেকে অর্জিত অর্থ সাইবার নিরাপত্তায় ইউএনডিপির তহবিলে দেওয়া হবে।
জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, আগামী বছর ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড চালু করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯০ শতাংশ মুঠোফোন দেশে উৎপাদনের পর তা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করছে ওয়ালটন। এখন মেইড ইন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। অথচ একসময় এ ধরনের ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন বা রপ্তানি তো পরের কথা আমদানি করে ব্যবহার করাও সম্ভব হতো না।
জুনাইদ আহ্মেদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, দারিদ্র্য ও দুর্নীতির লজ্জাবোধের জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখন সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে।
কনসার্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলার মনিরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আলম, অপরাজিতা হক, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খায়রুল আমিন, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ প্রমুখ।