Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীমনি ডিবি কার্যালয়ে

ডিবি কার্যালয়ে পরীমনির (মাঝে) সঙ্গে রয়েছেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী (ডানে)

চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর করা মামলায় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে তিনি সেখানে গেছেন।

আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে এসেছেন। সেখানে তাঁকে মামলাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হচ্ছে।

চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমি।

রোববার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পরীমনি

এ অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই সাভার থানায় একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে মাদক মামলায় আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Also Read: পরীমনির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ

পরীমনি গত রোববার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তাঁর মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।

Also Read: নাসির-অমি সাত দিনের রিমান্ডে

চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রোববার সন্ধ্যার সময় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।