বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল। দেশে প্রতি লাখ মানুষের জন্য পুলিশ মাত্র ৩২ জন। ভারতে এর সংখ্যা ১২৯ জন। আর বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এ সংখ্যা ২৩০ জনের বেশি। জাস্টিস রিফর্ম অ্যান্ড করাপশন প্রিভেনশন (জেআরসিপি) প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলাদেশ জাস্টিস অডিট’ নামের ফলাফল উপস্থাপনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার এ ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে মামলাজট, দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব, বিচারব্যবস্থায় দুর্বল ও অপর্যাপ্ত তথ্য ইত্যাদিকে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জার্মান কারিগরি সংস্থার (জিআইজেড) যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা হিসাব করে বিষয়টি শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে। প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজে অপরাধ সংঘটনের কারণ ও ধরন, সেগুলো পুলিশের কাছে কীভাবে যায়, আদালতে গেলে কী অবস্থা হয়, এসব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একে আদর্শ ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের আওতায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ এবং রংপুর জেলায় দৈবচয়িত নমুনায়নের মাধ্যমে মোট ছয় হাজার উত্তরদাতার জবাবের ভিত্তিতে প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। জাস্টিস অডিটের প্রাথমিক ওই ফলাফল উপস্থাপন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবিধানিক আদালতের সাবেক বিচারপতি জোহান ক্রেগলার, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড জাস্টিস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন ইংলিশ ও জাস্টিস ম্যাপিং সেন্টারের পরিচালক জোসেফ এরিক ক্যাডোরা।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু আহমেদ জমাদার বক্তব্য দেন।