দুই বিচারক আসছেন না

ফরিদপুর জজ আদালতের চারটি কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ

ফরিদপুর জেলা জজ আদালতের ১২৮ বছরের পুরোনো ভবনের চারটি কক্ষ গণপূর্ত বিভাগের বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ। এই কক্ষগুলোর মধ্যে তিনটিতে আদালত এবং একটি নকলখানা হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও তিনটি আদালতকক্ষের মধ্যে একটিতে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বাকি দুটি আদালতের বিচারকেরা আদালতে আসছেন না।

আদালত সূত্র জানায়, ২ জুন ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী শওকত আলী জেলা জজ আদালতের নকলখানা, বিশেষ জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের কক্ষগুলো ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেগুলো ব্যবহার না করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা জজকে অনুরোধ জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আনোয়ারুল হক ৩ জুন আদালত ভবনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিতে আইন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন। এ ছাড়া জেলা জজ গতপূর্ত বিভাগের চিঠিটির অনুলিপি ওই তিনটি আদালতের বিচারক ও নকলখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠান। চিঠির অনুলিপি পাওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ তাঁর আদালতের কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজকে দেখার অনুরোধ জানিয়ে ৮ ও ৯ জুন ছুটি চেয়ে ৬ জুন ফরিদপুর ত্যাগ করেন। এরপর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ১০ জুন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর ছুটির আবেদন করলেও কত দিনের ছুটি আবেদনে তা উল্লেখ করেননি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাফায়েত সাজিদ জানান, ৮ জুন থেকে ওই আদালতে কাজ হচ্ছে না।

চিঠির অনুলিপি পাওয়ার পর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শফিকুর রহমান কয়েক দিন সাব-জজ আদালত-২-এ পালা করে মামলার কার্যক্রম চালান। গত রোববার থেকে তিনি কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত আছেন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিয়মিত আদালত পরিচালনা করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ মো. বারেকুজ্জামান।

ফরিদপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. খসরুজ্জামান জানান, বিচারকদের অনুপস্থিতির কারণে মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।