Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সোলেমান শেখকে তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। তবে সোলেমান শেখ বর্তমানে পলাতক আছেন।

আদালত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার দায়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সোলেমান শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম এবং ৯১ হাজার ২৯১ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। একই আইনের ৪২০ ধারায় আদালত তাঁকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

একই সঙ্গে আদালত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সোলেমান শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ওই আদালতের পেশকার সাধন কুমার দাস জানান, মো. সোলেমান শেখকে সব সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল দুদক সরকারি ৯১ হাজার ২৯১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে দুদক ফরিদপুরের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন অধ্যক্ষকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের বিশেষ কৌঁসুলি ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, মামলা দায়েরের পর দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ দুপুরে রায় হয়।