
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বলেছেন, ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তাসহ কোনো নদীরই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারছে না। অভিন্ন সব নদীর পানি ভারত ইচ্ছেমতো প্রত্যাহার করে নিলেও দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তাদের আগ্রাসী পানি নীতিকেই সমর্থন করে যাচ্ছে সরকার। তাঁর দাবি, ভারত এত দিন পানি সমস্যাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নানা ফায়দা লুটেছে।
জোট-মহাজোটের ভোটের রাজনীতির কাছে দেশ-জনগণ, নদী-বন-প্রকৃতি-পরিবেশ কোনো কিছুই নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কমরেড খালেকুজ্জামান গতকাল বুধবার বগুড়ার সাতমাথা থেকে দুই দিনব্যাপী তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখী রোড মার্চ উদ্বোধন করতে গিয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্যোগে বগুড়া থেকে গতকাল দুপুরে তিস্তা অভিমুখে এ রোড মার্চ শুরু হয়।
রোড মার্চ শুরুর আগে সাতমাথায় বগুড়া জেলা বাসদ আয়োজিত সমাবেশে কমরেড খালেকুজ্জামান আরও বলেন শুধু তিস্তা নয়, ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীতে ভারত একতরফা বাঁধ দিয়ে ১৯৯৭ সালের আন্তর্জাতিক পানিবণ্টন চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
রোড মার্চের উদ্বোধনকালে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জয়শংকর ঢাকা সফরে আসছেন। এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা রয়েছে। এবারও তিস্তার পানি চুক্তি না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বগুড়া জেলা বাসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামে সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা জাহেদুল ইসলাম, নওগাঁ জেলার সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন, সিরাজগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নব কুমার কর্মকার, রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক দেবাশীষ রায় প্রমুখ।
সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোড মার্চটি বৃহস্পতিবার (আজ) সকাল ১০টায় রংপুর প্রেসক্লাব, মেডিকেল মোড়, পাগলার পীর, তারাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকায় সমাবেশ শেষে তিস্তা ব্যারাজে গিয়ে শেষ হবে।