Thank you for trying Sticky AMP!!

বিনা অপরাধে ভারতের জেলে ছিলেন বাংলাদেশের বাদল ফরাজী

বাদল ফরাজী

দীর্ঘ ১০ বছর ভারতে কারাবাসের পর দেশে ফেরত আনা হয়েছে বাদল ফরাজীকে। আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি দেশে এসেছেন। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, জেট এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দেশে আসেন বাদল ফরাজী। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০০৮ সালের ৬ মে নয়াদিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধা খুনের মামলায় বাদল সিং নামের এক আসামিকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ। ওই বছরের ১৩ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ভুল করে বাদল ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। ইংরেজি বা হিন্দি জানা না থাকায় তিনি বিএসএফ সদস্যদের নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।

ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আদালতের রায়ে খুনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করেন দিল্লির আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টেও একই সাজা বহাল থাকে। ঘটনা জানার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুরক্ষা বিভাগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশের বিশেষ শাখা এবং কারা অধিদপ্তর থেকে মতামত চাওয়া হয়।

বাদলের নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি জানার পর গত ১৯ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক করে তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গত ১৭ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রসচিবকে এক ফ্যাক্স বার্তায় জানান, অনেক দিন ধরে বাদল ফরাজীকে বাংলাদেশে ফেরানোর বিষয়টি ঝুলে আছে। তাই এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। গত ২২ এপ্রিল ভারতে আনুষ্ঠানিক আবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।