
• আশিকুরের বুকের গুলিটি আপাতত সরানো যাচ্ছে না
• অস্ত্রোপচার করতে গেলে জটিলতা বাড়তে পারে
• আন্দোলনে আহত তানভীর ছাড়া পেয়েছেন
• শাহরিয়ার ও আরেফিন হাসপাতালে
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বুকে গুলিবিদ্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশিকুর রহমানকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে আশিকুরের বুকের গুলিটি আপাতত সরানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট একজন চিকিৎসক।
এদিকে একই আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. তানভীর হাসান গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পুলিশের লাঠিপেটায় মাথা ফেটেছিল তানভীরের। তানভীর প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি হলে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে হচ্ছে। আর রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. শাহরিয়ার হোসেন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর পিঠে ছররা গুলি লেগেছিল।
বুলেট থেকে যাবে আশিকের শরীরে?
আশিকের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বোর্ড গঠন করেছে। সেই বোর্ডের একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেহেতু বুলেটটি কোনো সমস্যা করছে না আর সেখানে অস্ত্রোপচার করতে গেলে বরং জটিলতা বাড়তে পারে, তাই আপাতত কোনো অস্ত্রোপচার নয়। বুলেটটি তাঁকে বুকে করেই বয়ে বেড়াতে হতে পারে দীর্ঘ সময়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে বুলেটবিদ্ধ হয়ে সারা জীবন বয়ে বেড়িয়েছেন বলেও তিনি উদাহরণ দেন।
ওই চিকিৎসক বলেন, আশিকুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতে তাঁর অবস্থা ভালো।
এদিকে আশিকুরের বন্ধুদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, আশিকুর ভালো আছেন। তবে গতকাল প্রথম আলোতে আশিকুরকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আশিকুরের কয়েক বন্ধুকে ছাত্রলীগের নেতারা ডেকে জানতে চেয়েছেন, তাঁর খবর পত্রিকায় কে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন আশিকুরের বন্ধুরা।
চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আরেফিন
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে চোখে আঘাত পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের আরেফিন শেখ। বর্তমানে তিনি আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।