Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাস্কর্যের পরিবর্তে মুজিব মিনারের প্রস্তাব আলেমদের

মাহমুদুল হাসান

ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ না করে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহসমর্থিত ‘উত্তম বিকল্প’ সন্ধানসহ পাঁচটি প্রস্তাব এসেছে আলেমদের একটি বৈঠক থেকে। তাঁদের আলোচনায় এসেছে, রাজধানীর দোলাইরপাড় চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পরিবর্তে আল্লাহর ৯৯ নামখচিত মুজিব মিনার তৈরি করা যেতে পারে।

আজ শনিবার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পরে যোগাযোগ করা হলে বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্তম বিকল্প’ সন্ধানের প্রস্তাবে আল্লাহর ৯৯ নামখচিত মুজিব মিনার তৈরির প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে। পাঁচ দফা লিখিত প্রস্তাবের বাইরেও প্রস্তাব এসেছে যে এসব বিষয়ে বেফাকের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পত্র দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভাস্কর্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তাঁরা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রতিনিধি হাটহাজারী মাদ্রাসার মুফতি জসীমুদ্দীন, হেফাজতের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর প্রতিনিধি মাওলানা নাজমুল হাসান, পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক আবদুল হালিম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুফতি রুহুল আমীন, নুরুল ইসলাম জিহাদি, আবদুল হামিদ (মধুপুরের পীর), আবদুল কুদ্দুস, আতাউল্লাহ হাফেজ্জি, মুফতি মনসুরুল হক, সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল মতিন বিন হুসাইন, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ।

বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মানবমূর্তি বা ভাস্কর্য যেকোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি বা নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়তসম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মার কষ্ট হয়। কারও প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাঁর স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে কোরআন-সুন্নাহসমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত।

আরেক প্রস্তাবে মহানবী (সা.)–এর অবমাননা, বিষোদ্‌গার, ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারি এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়।