
অভিনেত্রী মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানতে পারেনি।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত শেষ না হলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
গত সোমবার সকালে গুলশান লেকপাড়ের ১০৪ নম্বর সড়কের বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় অভিনেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে মিতা নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন নানা স্মৃতিচারণা করে নিজেদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই মৃত্যুকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
মিতা নূরের বড় বোন ফয়জুন নেছা প্রথম আলোকে বলেন, মিতা একটু বেশি আবেগপ্রবণ ছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো, পরে আবার মিটে যেত। মিতার মৃত্যুর জন্য শাহনূর দায়ী নন বলে মনে করেন ফয়জুন নেছা।
মিতা নূরের বড় ছেলে ‘ও’ লেভেলে পড়ুয়া শেজাদ নূর জানায়, ‘ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তা মিটমাট হয়ে যেত। এতে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা নয়। গত শনিবার বাবার অফিসে গিয়ে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে মা কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করলেও পরে দুজনেই মিটমাট করে ফেলেন।’
শেজাদ জানায়, কথা না শুনলে ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতেন তার মা। তবে ঘটনার আগে তার মা পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন না বলে ধারণা শেজাদের।
গতকাল গুলশানের লেকপাড়ের বাসায় মিতা নূরের স্বামী বায়িং হাউস ব্যবসায়ী শাহনূর রহমান মজুমদারকে পাওয়া যায়নি।
মিতার বাবা ফজলুর রহমান বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। এটা মৃত্যুর কোনো কারণ হতে পারে না।
মিতা নূরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বাবা ফজলুর রহমানের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলাটি গুলশান থানার পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এজাহারে মৃত্যুর কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
আরেক তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সবকিছু পরিষ্কার হবে।