Thank you for trying Sticky AMP!!

ময়মনসিংহে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আজ রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২নং গ্যালারিতে। ছবি: আনোয়ার হোসেন

প্রায় তিন দশক পর পুরোনো বন্ধুদের দেখে আবেগে আপ্লুত হলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আর ঘটনাটা ঘটল ময়মনসিংহে নিজের সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে। এত বছর পর ফিরে বন্ধু, সহপাঠী আর শিক্ষকদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।

বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ছবি: আনোয়ার হোসেন

বাংলা নববর্ষের দিন মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একসময়ের সহপাঠীদের কাছে পেয়ে মেলে ধরেন স্মৃতির ঝাঁপি। পাশাপাশি বসে আড্ডা দেন। ফিরে যান ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেডিকেল কলেজে শুরু করা ছাত্রজীবনের দিনগুলোতে। আর বর্তমান-সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সুধীজনদের সমাবেশে বাংলায় বলেন, ‘ভালো চিকিৎসক হতে হলে আগে একটা ভালো মানুষ হইতে হবে ভাই। মাঠ ভালো না হলে যা-ই রোপি (রোপণ করি) না কেন, কিছু উঠবে না সেখানে।’

বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে কিছুটা সময় কাটান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। বিনিময় করেন শুভেচ্ছা। ছবি: আনোয়ার হোসেন

আজ বেলা ১১টার দিকে লোটে শেরিং হেলিকপ্টারে করে ময়মনসিংহে পৌঁছান। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে যান। বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন। পরে বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। রাষ্ট্রীয় সফরে আসা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলেও তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশেই সময় কাটিয়েছেন।

বন্ধু-সহপাঠীদের মাঝে সস্ত্রীক লোটে শেরিং। ছবি: আনোয়ার হোসেন

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আগে জানিয়েছিলেন, লোটে শেরিং ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এমবিবিএস কোর্স শেষ করে আরও একটি প্রশিক্ষণ নেন ময়মনসিংহে। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছিলেন। সেই স্মৃতি থেকেই এবার তাঁর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সফরে আসা।

সহপাঠীদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে আড্ডায় মাতেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: আনোয়ার হোসেন