Thank you for trying Sticky AMP!!

লাশবাহী গাড়িতে ফেনসিডিল পাচার, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ৬

লাশবাহী গাড়িতে মাদক পাচার।

হঠাৎ কেউ অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে উঁকি দিলে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন হয়তো। চারটি লাশ, সাদা কাফনে মোড়া। তবে আসলে কাফনের ভেতর কোনো মানুষের মৃতদেহ ছিল না। মাদক কারবারিরা ফেনসিডিলের বোতল লাশের মতো করে সাজিয়ে ঢাকায় আনছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগ রোববার এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাহাবুবুল হাসান (২৯), হাসানুর রহমান সবুজ (২২), মো. সোহেল মিয়া ওরফে এমিলে (২৫) ও রোমন (২৩), শামীম (৪১) ও আল আমিন সরদার (৩৩)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা কুমিল্লা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল আনত। তাদের কাছে থেকে দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স ও ফেনসিডিল দুই ই জব্দ করেছে।

লাশবাহী গাড়িতে ফেনসিডিল পাচার।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (গুলশান) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এই দলটি এর আগেও ফেনসিডিল পাচার করেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কৌশল হিসেবে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশের আদলে ফেনসিডিল বহন করছেন এমন একটা খবর ছিল তাঁদের কাছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সে লাশের আদলে ফেনসিডিলের বোতল উঠিয়ে দেয়। আর পেছনে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে এগোতে থাকে।

শাহবাগ থানা এলাকার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে পরে লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে পুলিশ। তখনই সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ফেনসিডিল ভর্তি বস্তা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থেকে ওই দলেরই আরও দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার বোতল ফেনসিডিল ও এর পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে , তারা চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেনসিডিল আনছিল।