
আজ ২০ জানুয়ারি, শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান।
আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিন দিনের শোক পালন শেষে ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ৬ দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। সংগঠিত হয় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। আইয়ুব খানের পতন ঘটে। আরেক পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সত্তরের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু ইয়াহিয়া ক্ষমতা না ছাড়ার জন্য নানা টালবাহানা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মধ্যে চির জাগরুক থাকবেন। তাঁর আত্মত্যাগ ভবিষ্যতেও আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পথ দেখাবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে শহীদ আসাদসহ আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ২০ জানুয়ারি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে।