সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে নুরুল কাদের (২২) নামের এই ব্যক্তি নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ডিপোর ঘটনায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নুরুল কাদেরের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম ফয়েজুর রহমান। কাদের বিএম কনটেইনার ডিপোতে মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৬১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এ ঘটনায় আহত কাদেরকে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। গত দুই দিন কাদের লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তালুকদার জিয়াউর রহমান জানান। তিনি বলেন, তাঁর শরীরের ৬০ ভাগের বেশি পুড়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে মারা যান তিনি।
এর আগে একই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
বিএম ডিপোতে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মীর মৃত্যু হলো। এর আগে ৯ জন ফায়ার ফাইটারের মরদেহ পাওয়া গেছে। গাউসুল আজম ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।