
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ফেসবুকে অশোভন মন্তব্য ও কটূক্তির অভিযোগে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সুশান্ত পালকে তাৎক্ষণিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তবে শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেছেন, সুশান্ত পালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো’ এর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুশান্ত পালকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে। সুশান্ত পালকে খুলনা থেকে রংপুরে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। এর অর্থ নতুন কর্মস্থলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে যোগদান করতে হবে। প্রজ্ঞাপনে সুশান্তকে মানসিক চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে রাতে যোগাযোগ করা হলেও সুশান্ত পাল কোনো কথা বলেননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে এক ছাত্র শাহবাগ থানায় সুশান্তের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন। মামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুকে তাঁর স্ট্যাটাসে বলেন, সুশান্তকে ওএসডি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে চাকরিচ্যুতও করা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরব। তাঁর মন্তব্য এই প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করেছে। এনবিআর সুশাসনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। বর্তমানে সুশান্তকে রংপুরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
মইনুল খান বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের মন্তব্য করা যায় না। আশা করি, সুশান্তের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থায় ছাত্রদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার কাছে অত্যন্ত আবেগ ও সম্মানের জায়গা।’
আরও পড়ুন: