
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের বালুচরে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সিসি ব্লক, ভাঙা ইট, সুরকি ও খোয়া। এতে পর্যটকেরা হাঁটতে গিয়ে প্রায়ই আহত হচ্ছেন। এ বিষয়ে সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতে যাওয়ার প্রধান সড়কের দক্ষিণ অংশ থেকে অন্তত ৩০ ফুটের মতো সড়ক গত এক মাসে সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় ভেঙে গেছে। ওই সড়কের ভাঙা ইট-সুরকি জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। এর একটু পশ্চিম পাশে পড়ে রয়েছে সিসি ব্লক এবং এবড়োখেবড়ো খোয়া।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, কুয়াকাটা সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কের ঠিক উল্টো দিকে পশ্চিম পাশে ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বায়োগ্যাস প্লান্ট কাম রেস্টহাউস। সাত বছর আগে সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় এর সীমানাপ্রাচীর ভাঙতে শুরু করে। একপর্যায়ে মূল রেস্টহাউসটিও ভাঙনের মুখে পড়ে। স্থাপনাটির ভাঙন ঠেকাতে তখন সিসি ব্লক দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরে স্থাপনাটি আবার সাগরের তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন বছর আগে রেস্টহাউসসহ সীমানাপ্রাচীরের ভগ্ন অংশ ভেঙে ফেলে। তবে সব ইট-সুরকি অপসারণ করা হয়নি। এখনো সৈকতে ইট-সুরকিসহ কনক্রিটের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারের সময় সৈকতে পানি থই থই করে। তখন এগুলো বেশি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। পর্যটকেরা সাগরে ঝাপ দিয়ে এসব ইট-কনক্রিটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রচণ্ড আঘাত পান। হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়। প্রায় প্রতিদিনই জোয়ারের সময় এমন ঘটনা ঘটছে।
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা সাইফুর রহমান খোকন বলেন, সৈকত থাকবে মসৃণ। পর্যটকেরা খেয়াল-খুশিমতো ঘুরে বেড়াবে। অথচ সৈকতের বালুচরে পড়ে রয়েছে ইট-কনক্রিট, যা দেখে ভয় পেতে হয়। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করা উচিত। ঢাকার রামপুরার সৌমেন সাহা বলেন, ‘আমি জোয়ারের সময় মনের আনন্দে নামতে গিয়ে ওই সবের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি।’
কুয়াকাটার পর্যটন করপোরেশনের মোটেল হলিডে হোমসের ব্যবস্থাপক ও সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিজেরাও দেখছি। অনেকে অভিযোগও করেছেন। সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’