৭ বছর পর চীনকে ছাড়াবে ভারত

২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫০ লাখ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এই অবস্থানেই থাকবে। তখন জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটি ২০ লাখে।

জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের জনসংখ্যা বিভাগ ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস দ্য ২০১৭ রিভিশন’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদন এই তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদনটি এ সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের পর ভারত জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাবে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা ৭৬০ কোটি। গত ১২ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি। আগামী ১৩ বছরে আরও ১০০ কোটি মানুষ বাড়বে। অর্থাৎ ২০৩০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮৬০ কোটি। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ২১০০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তখন থেকে জনসংখ্যা আর বাড়বে না, বরং আস্তে আস্তে কমতে পারে। তখন অবশ্য জনসংখ্যা ১১১৮ কোটিতে পৌঁছাবে। তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমে ১৭ কোটি ৩৫ লাখে দাঁড়াবে।

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি জনবহুল দেশের পাঁচটি এশিয়ার (চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ); দুটি লাতিন আমেরিকার দেশ (ব্রাজিল ও মেক্সিকো); আফ্রিকা (নাইজেরিয়া), উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র), ইউরোপের (রুশ ফেডারেশন) একটি করে দেশ।

চীন ও ভারত এই দুটি দেশে বিশ্বের ৩৭ শতাংশ মানুষের বাস। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটি, আর ভারতের ১৩৩ কোটি। মোট জনসংখ্যায় ভারত কয়েক বছরের মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। চীনে প্রতিবছর ৭৪ লাখ করে মানুষ বাড়ছে, ভারতে বাড়ছে তার দ্বিগুণের বেশি। ভারতে প্রতিবছর জনসংখ্যার সঙ্গে নতুন করে ১ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ যুক্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালে দুই দেশের জনসংখ্যা সমান হবে, ১৪৪ কোটি করে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত মাসে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পেল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৬’ প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশে প্রতিবছর ৩৪ লাখ মানুষ বাড়ছে। আর জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরে ১৮ লাখ নতুন মানুষ মোট জনসংখ্যায় যুক্ত হচ্ছে।