Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকার দুটি হাসপাতাল বন্ধ করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

রাজধানীর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের কেয়ার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক এবং উত্তরা হাইকেয়ার নিউরো ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল।

এ ছাড়া শ্যামলীর ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ল্যাব বন্ধ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক মঈনুল আহসান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশের লাইসেন্সবিহীন, অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বিধি মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা মোতাবেক পরিদর্শন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

পরিদর্শনে শ্যামলীর হাইকেয়ার অর্থোপেডিকস ও জেনারেল হাসপাতালকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই এলাকার ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কালার কোডেড বিন (মেডিকেল বর্জ্য রাখার রঙিন পাত্র) সঠিক না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা।

এ ছাড়া শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালকে তথ্য কর্মকর্তার নাম ও ছবি টানাতে এবং এসবিএফ কিডনি কেয়ার সেন্টারকে একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজধানীর লুবানা হাসপাতাল, উত্তরা ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক এবং উত্তরার ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সারা দেশে ১৬টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিলগালা করা হয় দুটি প্রতিষ্ঠানকে। এদিন মোট ৩৭টি স্বাস্থ্য সেবা খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠা পরিদর্শন করেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়।