রাজনৈতিক, সামাজিক বা অন্য কোনো কর্মসূচির নামে বেআইনিভাবে রেলের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ এবং রেললাইনের ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধনের মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে যাত্রীসাধারণের ভোগান্তির পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সেই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা করতে না পারায় রেলওয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেলকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেহেতু রেল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি জাতীয় সম্পদ, তাই রেলের এই ক্ষতি ও লোকসান জাতীয় সম্পদ তথা সাধারণ জনগণের লোকসান। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।
নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে সবাইকে আরও যত্নশীল হওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
যাত্রীদের মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।