দেয়ালে গ্রাফিতি
দেয়ালে গ্রাফিতি

মাহা মির্জার লেখা

জুলাইয়ের প্যান্ডোরার বাক্স এবং সহাবস্থান

পি চিদাম্বরম ছিলেন মনমোহন সিংয়ের অর্থমন্ত্রী। হিন্দুত্ববাদের কট্টর সমালোচক; কিন্তু চিদাম্বরমের ‘ডেভেলপমেন্ট’ (উন্নয়ন) ছিল হাসিনার উন্নয়ন দশকের মতো। একদিকে ভারতে বিএমডব্লিউ বাড়ছে, পাঁচতারা হোটেল বাড়ছে, আরেক দিকে কৃষকের আত্মহত্যা বাড়ছে। জিডিপি বাড়ছে, আবার গরিব মানুষের ক্ষুধা আর বিপন্নতাও বাড়ছে। ঝাড়খন্ড আর ছত্তিশগড়ের হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমি কেড়ে নিয়ে উপহার দেওয়া হলো বক্সাইট কোম্পানিগুলোকে। ২০১২ সালে অরুন্ধতী রায় লিখেছিলেন, ‘মিস্টার চিদাম্বরমস ওয়ার’। রায় বললেন, অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম ভারতের কৃষকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন। 

তত দিনে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। ‘সেক্যুলার’ কংগ্রেসের অত্যাচারে কৃষক অতিষ্ঠ। বিজেপির সামনে সহজ টার্গেট। বিজেপি বলল, সেক্যুলার মানেই হিন্দুর শত্রু, গরিবের শত্রু। আর বিজেপি হলো ভারতের নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি। বিজেপির ভোট বাড়ল। 

১০ বছর পর পি চিদাম্বরম বই লিখলেন সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র নিয়ে। মুসলমান নিধনের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। কিন্তু কৃষক-মারা চিদাম্বরমের এই সেক্যুলারিজমের ওপর মানুষের ভক্তি উঠে গেছে। তত দিনে ভারতের ভুখানাঙা নিম্নবর্গের পরিচয়হীন মানুষকে পরিচয় দিয়েছে মোদির হিন্দুত্ববাদ। হাড়ভাঙা কোটি কোটি মানুষকে বোঝানো গেছে, হিন্দুর যুদ্ধটা আসলে মাফিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নয়, আদানি–আম্বানির রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখলের বিরুদ্ধে নয়, যুদ্ধটা আসলে ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে, সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে।

২. 

২০১৯ সালে নেটফ্লিক্সে এল ভারতীয় সিরিজ লেইলা। ২০৪৫ সালের হিন্দুত্ববাদী ভারতের এক শক্তিশালী নরক-কল্পকাহিনি। হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র আর আর মাফিয়া টেক-কোম্পানিগুলো একসঙ্গে হয়েছে। আর সেকু৵লারদের ধরে ধরে পাঠানো হচ্ছে লেবার ক্যাম্পে। এক ধনী অভিজাত নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁকে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রীর বাড়িতে বুয়ার কাজ করতে। ঘটনাক্রমে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। মন্ত্রীকে তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে সুইমিংপুল ছিল, মেয়ে দামি স্কুলে পড়ত। কী করে এমন হয়ে গেল।

মন্ত্রী উত্তর দিলেন, তোমরা যখন ‘আর্ট–কালচার’ করছিলে, ঠিক তখন সমাজের খুব গভীরে এই পরিবর্তনগুলো ঘটে গেছে। তোমাদের আর্ট-কালচার, তোমাদের সেক্যুলার গ্যালারিগুলো জনগণের কাছ থেকে বহু দূরে ছিল। তোমরা কোটি কোটি মানুষের বিপণ্নতা দেখতে চাওনি।

৩. 

জুলাইয়ের প্যান্ডোরার বাক্স 

জুলাই–আগস্টজুড়ে বিচিত্র রকমের মানুষ রাস্তায় হেঁটেছেন, গুলি খেয়েছেন। জুলাইয়ের পথে পথে মেয়েরা ছিলেন, বৈষম্যবিরোধীরা ছিলেন, বাম-ডান-উত্তর-দক্ষিণ সবাই ছিলেন। কালো বোরকা ছিল, লাল টিপ ছিল। শাপলা ছিল, শাহবাগ ছিল। হিজাব ছিল, শাড়ি ছিল, জিনস ছিল, সাদা জোব্বা ছিল। মামা হালিমের দোকানি ছিলেন, চুল স্পাইক করা টিকটকার ছিলেন। গাজীপুরে ছিলেন কারখানার শ্রমিক, মিরপুরে ছিল যুবদল, যাত্রাবাড়ীতে শিবির কর্মী। মোহাম্মদপুর-বছিলার রাস্তায় নেমে এসেছিলেন চাকরিজীবী, অটোওয়ালা আর শ্রমিক। রামপুরা-উত্তরায় ছিল আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। 

আর ছিল আমাদের আম্মুরা। কী ভীষণ মমতায় পথে পথে পানির বোতল নিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

জুলাই সবার ছিল। ছররা গুলির সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কাউকে অপর করেনি। 

অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের প্যান্ডোরার বাক্সটি খুলে গেল। ক্রোধ, বিদ্বেষ আর বিভক্তির দগদগে ক্ষত। জুলাইয়ের দলগুলো এখন ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলতে চায় একে অপরকে। বহু প্রশ্ন, বহু তত্ত্ব, বহু মতবাদ। তত্ত্বের বিপরীতে তত্ত্ব, ক্রিটিক ও পাল্টা ক্রিটিক, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। 

এই দেশে কি উগ্র ডানপন্থার উত্থান ঘটেছে? ভারতে যেটা হিন্দুত্ববাদ—মুসলমান ঘৃণা, সেটিই কি ডানপন্থা? ডানপন্থী কারা হন, কেন হন? সমাজ থেকে ছিটকে পড়া মানুষ কি ধর্মকে আঁকড়ে ধরে উগ্রবাদী হন? নাকি এটি রাজনীতির প্লট? নাকি এর পেছনে থাকে টাকার বান্ডিল, ভোটের রাজনীতি, ‘ডিপ স্টেট’?

মাহা মির্জা: শিক্ষক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এই উগ্রপন্থা কি বাংলাদেশে হঠাৎ নাজিল হয়েছে? আগে ছিল না? হাসিনার আমলে শরৎ এলেই কি দুর্গার মাথা ভাঙেনি এলাকার বীরপুরুষ? এর সবটাই কি ছিল জমি দখলের ধান্দা বা এলাকার কোন্দল? কিছুটাও কি ‘কমিউনাল’ হয়ে ওঠেনি এই অঞ্চলের কিছু মানুষ? শাল্লার আধপেটা মুসলমান জেলেরা দলে দলে হিন্দুর বাড়ি পোড়াতে গিয়েছিলেন। কেউ তাঁদের বুঝিয়েছিলেন ইজারাদার নয়, বালুমহাল নয়; হিন্দুরাই গরিব মুসলমানের প্রধান শত্রু। 

গঙ্গাচড়ার ২৫টি হিন্দু পরিবার এখনো গ্রামছাড়া। দফায় দফায় হামলা হলো, পুলিশ কাউকে ধরল না। এই যে হিন্দুর ঘর পোড়ানোর স্বাভাবিকায়ন, এটা ডানপন্থাপ্রবণতা নয়? আমাদের দুই তরুণ চিন্তাবিদ একসময় হিন্দুর ঘর পোড়ানোর মনস্তত্ত্ব নিয়ে একটি জরুরি প্রশ্ন তুলেছিলেন—এই ঘটনাগুলো কি ‘সাম্প্রদায়িক, নাকি রাজনৈতিক?’, নাকি সাম্প্রদায়িক-রাজনৈতিক? অর্থাৎ দুটি প্রবণতাই মিলেমিশে আছে এই ভূখণ্ডে। সেই সঙ্গে ‘ডিনায়াল’–এর রাজনীতিটাও আছে। 

আবার উগ্র ডানপন্থা কি কেবলই ধর্মবাদী? নাকি সব সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ভেতরেই আছে উগ্রতার বীজ? জুলাইয়ের পর সংখ্যাগরিষ্ঠের জাতীয়তাবাদী ডানপন্থাও কি দেখিনি আমরা? রুপাইয়া তঞ্চঙ্গ্যা নামের পাহাড়ের মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে পেটাল যারা, ওরা কারা ছিল? স্বতঃস্ফূর্ত মব? কই, বিচার তো হলো না আজও। 

অভ্যুত্থানের পর কয়েক শ মাজার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, বাউল–ফকিরদের চুল কেটে দেওয়া হলো। এই যে নিজের ধর্মের ভেতরেই সংখ্যাগরিষ্ঠের উগ্রতা, কী নাম দেব এই প্রবণতার? 

আবার বাঙালিবাদী ‘লিবারেল’ও কি উগ্র হয়নি এই দেশে? কেউ তাকে ডাকছে আওয়ামী-কালচারাল-মাফিয়া, কেউ ডাকছে ছায়ানটি, রবীন্দ্রজীবী, আরবান এলিট। আমরা ভুলিনি, জনগণের সীমাহীন দুঃখ–দুর্দশার দিনেও একটি তথাকথিত লিবারেল গোষ্ঠী উন্নয়নের প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, সাদা জোব্বা দেখে নাক সিটকেছে, গুম–হত্যার বিরুদ্ধে চুপ থেকেছে। 

মব কি তবে লিবারেলদের ‘বেহায়াপনা’র জবাব? মব কি তবে আওয়ামী–দালালির বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ? মব কি তবে জনবিচ্ছিন্ন আর্ট কালচারের বিরুদ্ধে মানুষের ন্যায়সংগত ক্ষোভ? 

তাহলে কী দাঁড়াল? এই আর্ট কালচার করা শহুরে লিবারেল মাত্রই কি আওয়ামী লীগের দোসর? নারায়ণগঞ্জ থেকে, টঙ্গী থেকে, দক্ষিণখান থেকে বাসে করে শুক্রবার সকালে ছায়ানটে গান শিখতে আসা ছাপোষা মধ্যবিত্ত বাপের মেয়েটি, সে–ও আওয়ামী ‘কালচারাল’ আধিপত্যের দাসানুদাস? জনবিচ্ছিন্ন, সুবিধাপ্রাপ্ত? 

আচ্ছা, জনবিচ্ছিন্নতার দায়ভার কি শুধুই লিবারেলের? 

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কে নয় আসলে? জনগণের নামে রাজনীতি করা তরুণেরা কি জনগণের অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততার কারণ খোঁজেন? পশ্চিমা নিও-লিবারেল (নয়া–উদারবাদী) অর্থনীতির গরিব-মারা কাঠামোটি নিয়ে কথা বলেন? ছয় কোটি কৃষকের সার, বীজ ও সেচের খরচ বেড়ে যাওয়ার খোঁজ রাখেন? খোঁজ রাখেন হরেদরে ছাঁটাই হওয়া লাখো শ্রমিকের? 

ঢাকার মাদ্রাসাপড়ুয়া বেশির ভাগ তরুণের পেছনে রয়েছেন একজন ছুটা বুয়া মা, একজন শ্রমিক মা। দৈনিক ১০ বালতি পানি–টানা সেই মায়ের হাঁটু ও কোমর ক্ষয়ে যায়। মাকে নিয়ে হাসপাতালে যায় না মাদ্রাসার তরুণ? এই শহরে একটি সামান্য এমআরআই করতে সাত হাজার টাকা লাগে। অথচ মায়ের বেতন কত? দ্বীন ও দুনিয়াবি হক আদায়ের মাঝখানে কী ভীষণ প্রতাপে দাঁড়িয়ে থাকে মায়ের হাসপাতালের বিল ও পুঁজিবাদ। মাদ্রাসার কিশোরটির আর্থিক বিপণ্নতার খোঁজ কি রাখেন কালচারাল হাঙ্গামায় লিপ্ত ফেসবুকের যোদ্ধারা? তালতলা ও কেরানীগঞ্জের গলিঘুপচির ছোট ছোট কারখানায় মশার কয়েল, ফ্যানের তার, গ্যাসের চুলা বানায় মাদ্রাসা ড্রপ-আউট অগণিত কিশোর। তার মজুরির খোঁজ কে নেয়? নিজের জন্য, মায়ের জন্য ন্যূনতম মজুরির মিছিলে কি হাঁটতে ইচ্ছা করে না মাদ্রাসার তরুণের? 

এক মাদ্রাসার শিক্ষক একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে তাঁর বাচ্চাটিকে কেমন করে বাঁচাবেন। সত্যিই তো শহরের বাতাসে গজবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ক্রোমিয়াম। কালচার ও ধর্মের ক্যাচালের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলা হয়েছে মানুষের ডিম, দুধ, ঘরভাড়া, হাসপাতাল আর বিশুদ্ধ বাতাসের চাহিদাকে। হেফাজতের কর্মীরাও ভাতটাই খান। মোটা চালের কেজি এখন ৭০ টাকা। 

উপনিবেশের প্রভুরা চলে গেছেন, কিন্তু রয়ে গেছে উপনিবেশের শোষণের অর্থনীতি। বহুজাতিক কোম্পানির হাতে চলে গেছে কৃষকের বীজ, গ্রাম ছেড়ে দলে দলে কারখানার শ্রমিক হয়েছেন কৃষক, একসময় মেশিন এসেছে, শ্রমিকের চাকরি গেছে। পাটকল, চিনিকল, কাগজকলগুলো বন্ধ হয়েছে। শ্রমিক থেকে অটোওয়ালা হয়েছেন ‘সাবঅল্টার্ন’। মাদ্রাসার ছেলেটির সামাজিক পরিচয়ের আকাঙ্ক্ষাটি বুঝতে ‘পোস্ট-কলোনিয়াল তত্ত্ব’ কাজে লেগেছে, কিন্তু কয়েক কোটি মাঠের কৃষক, কারখানার শ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিক বা সরকারের আউটসোর্সিং কর্মচারীটিকে এখনকার এই নিও-কলোনিয়াল (নয়া–উপনিবেশবাদী) কাঠামোর গোলামে পরিণত করার আলাপটিকে আলোচনার টেবিল থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

৪. 

ঘৃণা-বিদ্বেষ বনাম সহাবস্থানের সম্ভাবনা 

এভাবে কি মানুষের মুক্তি ঘটে? পশ্চিমা সেকু৵লারদের পতনের পর এমনি এমনি মানুষের মুক্তি ঘটে যাবে? পশ্চিমের বীজ কোম্পানি, পশ্চিমের সস্তা শ্রমের চাহিদা, পশ্চিমের ওপেন মার্কেট, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অসংখ্য অসম চুক্তি, বিশ্বব্যাংকের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সংস্কার—এই সবকিছু অক্ষত রেখে শুধু পশ্চিমের সেক্যুলার আর পশ্চিমের নারী অধিকারকে গালমন্দ করলেই গরিবকে পিষে ফেলা এই কলোনিয়াল (ঔপনিবেশিক) ব্যবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে নিম্নবর্গের কোটি মানুষের? আরএসএসের হাতে কি গরিব হিন্দুর মুক্তি ঘটেছে? নাকি সেক্যুলার ঠেকাতে আদানি-আম্বানির মতো করপোরেট মাফিয়াদের কোলে চড়ে বসে আছেন ভারতের সেক্যুলার-বিরোধী নিম্নবর্গের পতাকাওয়ালারা? সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতাপে হিন্দু কৃষকের আত্মহত্যা কমেছে? 

আমার সমাজের গঠন ও গড়ন জটিল। এই সমাজে বহু রং, বহু বর্গ, বহু কানাগলি। তবে এখানে ঘৃণা–বিদ্বেষের দগদগে ক্ষত যেমন আছে, আবার সহাবস্থানের বহু সম্ভাবনাও আছে।

মাদ্রাসার ছেলেরা দলে দলে ঢুকছে বাজারের দুনিয়ায়। এত দিনে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই তাদের স্বাভাবিক বিচরণ। তারা কম্পিউটার শেখে, হকারি করে, অটো চালায়, নিউমার্কেটে মেয়েদের স্যান্ডেল বেঁচে, হাতাকাটা শেমিজ বেঁচে। কই, তাদের জড়তা নেই তো। 

পাটকল রক্ষার আন্দোলনে এক হেফাজত কর্মীর পাশে বসে ছিলাম। তাঁর বেকার জীবনের করুণ কাহিনি শোনার পর আবিষ্কার করলাম, আরে, এ লোকের সঙ্গে গল্প করা যায় তো। এত কঠিন নয় ব্যাপারটি। 

ধানমন্ডির এক দরজি সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি আবার মেয়েদের ব্লাউজের ডিজাইনও করেন। এটুকু দ্বৈত সত্তা, এটুকু নড়বড়ে সহাবস্থান, এইটুকু নেগোসিয়েশনের জায়গা বরাবরই আছে এই সমাজে। 

জুলাইয়ের রাস্তা সেই বিচিত্র এবং অভূতপূর্ব সব সহাবস্থানের স্মৃতি ও শক্তি বহন করে চলে—এটুকুই ভরসা। 

মাহা মির্জা: শিক্ষক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়