ছাত্রদলের আহবায়ক গ্রেপ্তার, বিএনপির প্রতিবাদ

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির নেতারা বলেছেন, সাইফুল আলমকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন বলিষ্ঠ ছাত্রনেতা।

শনিবার বিকেলের দিকে সাইফুলকে তাঁর গোসাইলডাঙার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা-পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই বিবৃতি দেয় বিএনপি। বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্যায়ভাবে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ খান।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান অবৈধ সরকারের পতনের আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। এ কারণে সরকার গ্রেপ্তার আতঙ্ক শুরু করে দিয়েছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে। সাইফুল ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে আসছিলেন। তাই তাঁকে লাঞ্ছিত করে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা জঘন্য ঘটনা।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দেশ পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণের আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধ্বংসের মাধ্যমে সমগ্র দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনি তৈরি করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারের দুঃশাসনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, নাশকতার চারটি মামলায় পরোয়ানা থাকায় সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।