
দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, ‘আমি যা বলি, আমি তা–ই করি; এইটা ভালো হইলে, ভালোমন্দ হইলে আমার কিছু করার নাই। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, মার্কা যা–ই হোক, নির্বাচন করব আমি সরাইল–আশুগঞ্জ থেকেই।’
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া এবং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই দফায় ২৭২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। রুমিন ফারহানার ভাষ্য, দেশের অধিকাংশ নির্বাচনী আসনে যখন আনন্দ-উৎসব চলছে, তখন সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ জানেন না তাঁদের এমপি প্রার্থী কে। এটা সরাইল–আশুগঞ্জের মানুষের জন্য দুঃখজনক বিষয়।
দলের জন্য গত ১৭ বছরে নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘গত ১৭ বছর আমার কী ভূমিকা ছিল, সেটা আমি বলব না, সেটা আপনারা জানেন। মানুষজন জানেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তই রুমিন ফারহানার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, আমি বাংলাদেশ জয় করতে পারি। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, আমার বাবার যে অপূর্ণ স্বপ্ন, পূরণ করতে পারব।’
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেননি। ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। নৌকার বাইরে অন্য সব প্রার্থীকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নৌকার বাইরে যাঁরা অন্য যেকোনো মার্কার পক্ষে কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন-পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন সরকার বলছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন নাকি ২০২৬ সালে উপহার দেবে। আমরা এ কথায় বিশ্বাস রাখতে চাই।’
বক্তব্যে দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও তুলে ধরেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে আহ্বান জানাব, নির্বাচনের আগে কার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র আছে, কার কার হেফাজতে অবৈধ অস্ত্র আছে, সেগুলো আপনারা খুঁজে বের করেন। ৫ আগস্টের পর থানা থেকে যে অস্ত্র লুট হয়েছে, সেই অবৈধ অস্ত্র আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। ’২৬–এর নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হবেন, যাঁরা ভোটার, যাঁরা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন, প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের নিতে হবে।’
রুমিন ফারহানা প্রায় প্রতি সপ্তাহে এলাকায় এসে গণসংযোগসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, ‘সরাইল ও আশুগঞ্জ নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন। সরাইল ও আশুগঞ্জকে মডেল উপজেলা করার স্বপ্ন আমার। আপনাদের ভোটে আমি যদি সংসদে যেতে পারি, এ দুটি উপজেলা হবে মডেল উপজেলা।’