ঢাকার ধামরাইয়ে বুচাই পাগলার মাজারে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়
ঢাকার ধামরাইয়ে বুচাই পাগলার মাজারে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়

সাড়ে ৫ মাসে ৪০ মাজারে হামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ২৩: প্রেস উইং

দেশে গত ৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী সাড়ে ৫ মাসে ৪০টি মাজার, সুফি সমাধিস্থল ও দরগাহে ৪৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলাকালে ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর আক্রমণ, মাজারের সম্পদ লুটপাট ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশের এই তথ্য আজ শনিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। তারা আরও জানায়, ৪৪টি হামলার ঘটনাতেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৩ জনকে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মাঝারে হামলার সবচেয়ে বেশি ১৭টি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারেই চার দফা হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। দুটি মামলায় এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৩টি মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যান্ড অপস শাখার উপমহাপরিদর্শক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশের মাজার, সুফি–সমাধিস্থল ও দরগাহের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ যথাযথ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি সভা আয়োজনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রেস উইং আরও বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করেছে। পুলিশের সব ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্ত এবং হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে নানা সময়ে মাজারের পাশাপাশি কাওয়ালি গান বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখন থেকে কোনো গানের আসর অথবা মাজারে হামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।