প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীরকে প্রকাশ্যে হেনস্তার ঘটনায় ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আজ শুক্রবার ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারের ঘটনাতেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডিক্যাব মনে করে, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রবীণ সাংবাদিক ও সম্পাদক নূরুল কবীরকে প্রকাশ্যে হেনস্তার ঘটনা সাংবাদিক সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি শুধু পেশাগত মর্যাদার ওপর আঘাত নয়, বরং সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
ডিক্যাব অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপও প্রত্যাশা করেছে।
ডিক্যাবের সাবেক সভাপতি আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয় বিবৃতিতে। একই সঙ্গে আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সম্পাদক পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠনের বিবৃতির সঙ্গে ডিক্যাব একাত্মতা প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে ডিক্যাব শনিবারের রাষ্ট্রীয় শোকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।