ডেঙ্গু
ডেঙ্গু

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছুঁই ছুঁই

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময় নতুন করে ৯৫০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু নিয়ে দেওয়া প্রাত্যহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯ হাজার ৮৪৯। আর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৪৫ জন।

এখন যে হারে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী নভেম্বর বা পুরো শীতের মৌসুমে এ রোগের বিস্তার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর রেশ থাকতে পারে আগামী বছরও।

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে–নজীর আহমেদ বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃত্যু বা সংক্রমণ কোনোটাই কমছে না। এখন প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ মাসের শেষ দিকে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে, এর অর্থ হলো মশার বংশবৃদ্ধি হবে আরও। আর রোগী ও মশার সংখ্যা একইভাবে বাড়তে পারে।’

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজেনর মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগে। তাঁর মৃত্যু হয় বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই পুরুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৮৫ জন। এ সময় দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩১। ঢাকা বিভাগের বাইরে বরিশাল বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল, এ সংখ্যা ১৯১।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। তবে চলতি অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। এ মাসে শুরু থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টি কমেছে। তবে চলতি সপ্তাহের শেষে আবার সাগরে নিম্নচাপের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এতে ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিসের বিস্তার আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিস্তার রোধে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে–নজীর আহমদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেঙ্গু ঢাকার বাইরে যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। স্বাস্থ্য বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কেউই বিষয়টি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথাও বলেনি। বলতে পারি, অন্তর্বর্তী সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফেল করেছে।’