মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একেকজন নিজেদের মনগড়া পোস্ট দিচ্ছেন
মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একেকজন নিজেদের মনগড়া পোস্ট দিচ্ছেন

মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে ‘ভিউ ব্যবসায়ীরা’ গল্প ফাঁদছেন

মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম, স্কুলটির কো–অর্ডিনেটর মাহরীন চৌধুরী, শিক্ষক মাসুকা বেগম। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে বানানো বিভিন্ন রিলসে তৌকির ইসলাম স্যুট–টাই পরে নিজেই বলছেন, তিনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দুর্ঘটনাটা এড়াতে পারেননি। একইভাবে মাহরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমও সুন্দর শাড়ি পরে হাসি হাসি মুখ করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলছেন, দগ্ধ বাচ্চাদের সেখান থেকে বের করতে গিয়ে নিজেরা দগ্ধ হন এবং পরে মারা যান। অর্থাৎ মারা যাওয়ার পরও তাঁরা কথা বলছেন।

ফেসবুকে ভিউ ব্যবসার জন্য বানানো এসব রিলস দেখে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি অমানবিক।

২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ মারা নিহত হয়েছেন ৩৪ জন।

ঘটনার দিন আগুনে দগ্ধ হয়ে স্কুলের ভেতর থেকে যখন অনেক বাচ্চা বের হয়ে আসছিল, তখন অনেকে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা না করে ভিডিও করছিলেন। এ নিয়ে ক্ষোভ আছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা বলছেন, মানুষ সেই সময় ভিডিও না করে বাচ্চাগুলোকে একটু বাঁচানোর চেষ্টা করলে হয়তো দু-একজন বেঁচেও যেত। আর ঘটনার পর ওই সব ভিডিও এবং এআই দিয়ে বানানো ছবি ও ভিডিও দিয়ে এখন শুরু হয়েছে নতুন যন্ত্রণা। পাইলট তৌকির মারা যাওয়ার দুই মিনিট আগে কী করছিলেন, বিমানটা কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল, মারা যাওয়ার আগে স্কুলের শিক্ষকেরা কী বলেছিলেন—এমন রিলসও বানানো হয়েছে। চটকদার শিরোনাম দেখে অনেকে বিভ্রান্তও হচ্ছেন।

মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক মায়ের ‘তিন সন্তান মারা গেছে’। ফেসবুকে ‘জুনায়নাস ড্রিমস’ নামের পেজে এমন পোস্ট দেখে সবার মধ্যে এক হাহাকার তৈরি হয়। অনেকে পোস্টের নিজে মন্তব্য করেন। এই পেজ শামীমা মমতাজের। ৩০ জুলাই বুধবার এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীমা বললেন, ‘আমার বাচ্চা না। কপি-পেস্ট করেছি।’ কপি-পেস্ট করেছেন তা পোস্টের কোথাও উল্লেখ করেননি কেন, জানতে চাইলে  তিনি বলেন, ‘তাহলে পোস্টটি ডিলিট করে দিচ্ছি।’

এখন পর্যন্ত দুটি পরিবারে একাধিক শিশু মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাহমিনা আক্তার-আশরাফুল ইসলাম দম্পতির মেয়ে তাহিয়া আশরাফ নাজিয়া মাইলস্টোন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। আর এই দম্পতির ছেলে আরিয়ান আশরাফ নাফি ছিল তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এই দুই ভাই–বোন এক দিন আগে-পরে মারা গেছে। রাজধানীর কামারপাড়ায় রাজাবাড়ি দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে এই ভাই-বোনকে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়েছে।

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান।

এ ছাড়া স্কুলটির কাছেই তারারটেক মসজিদ এলাকায় সম্পর্কে নিকটাত্মীয় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিদ হাসান আরিয়ান, তৃতীয় শ্রেণির ওমাইর নূর আসফিক এবং একই শ্রেণির বোরহান উদ্দিন বাপ্পী মারা গেছে। এই তিন শিশুর কবরও পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাগুলো মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। আর এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ফেসবুকে একেকজন নিজেদের মনগড়া পোস্ট দিচ্ছেন। ভিউ ব্যবসায়ীরা নানা গল্প ফাঁদছেন।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাইলস্টোনের ঘটনায় কী বলেছেন, তা–ও ঘুরছে ফেসবুকে। আগুন নিয়ে শেখ হাসিনার আগের একটি বক্তব্যের ভিডিও দিয়ে এটা বানানো হয়েছে।

‘দয়া করে ওদের মৃত বলবেন না’

স্কুলের বাচ্চাদের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ‘একদিন ছুটি হবে, অনেক দূরে যাব...’ হেসে হেসে গানটি গাইছে শিশুরা। ভিডিও ফুটেজে করুণ সুর লাগিয়ে বলা হচ্ছে, এই শিশুদের সবার ছুটি হয়ে গেছে, তারা কেউ আর বেঁচে নেই।

শিশুদের গান গাওয়ার এই ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে পোস্ট করে স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণির রেইন সেকশনের ফর্ম টিচার নাদিয়া আক্তার লিখেছেন, ‘ওরা আমার রেইন সেকশনের বাচ্চা। এরা সবাই সুস্থ আছে, ভালো আছে। আপনারা দয়া করে ওদের মৃত বলবেন না। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমি নিজে ছিলাম ভবনে। দয়া করে এই ভিডিওগুলো দিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়াবেন না।...জীবিত বাচ্চাগুলোকে মৃত বললে কতটা কষ্ট হয়, আপনারা জানেন না।’

উম্মে সালমা মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল স্কুলে। ভাগ্যক্রমে নিজে বেঁচে গেলেও সহপাঠীর ছোট বোন মারা যায়। উত্তরায় স্কুলের সামনে এসে সেই স্মৃতি মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়ে

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হওয়া বেশ কিছু শিশুর ভিডিও ফুটেজ ঘটনার পরপরই ছড়িয়ে পড়েছিল। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেই দগ্ধ শিশুগুলোকে নিয়ে নতুন করে রিল বানানো হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে শিশুগুলোর পুরো শরীর, এমনকি গায়ের সব কাপড় পুড়ে গেলেও তারা গটগট করে হাঁটছে।

মিরসাদকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প

কেউ কেউ মাইলস্টোনের ঘটনায় কাল্পনিক গল্প ফেঁদেও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজের ভিউ বাড়িয়েছেন। মিরসাদ নাম দিয়ে এক বাচ্চার কাহিনি তেমনই একটি কাল্পনিক কাহিনি। শুধু মিরসাদ নয়, ছেলের শোকে তার মা মারা গেছেন বলেও ফেসবুকেই সিরিজ গল্প লেখা হয়। মিরসাদ এমনভাবে পুড়েছে যে তার স্কুলড্রেসের শার্টে একটুকরা মাংস লেগে ছিল, তা দিয়েই ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে বলেও বলা হয়। মিরসাদের বাবাকে ইতালিপ্রবাসী হিসেবে পরিচিত করা হয়। মিরসাদের মা ছেলের ছবি যাতে কোথাও প্রকাশ করা না হয়, তা–ও নাকি মৃত্যুর আগে বলে যান। গল্পে ২৬ জুলাই সকাল আটটায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাজালিয়াতে বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদে মিরসাদ ও তার মায়ের জানাজা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

অবশেষে এই কাল্পনিক গল্পটি যিনি লিখেছেন, সেই আমিনুল মুনতাসির ফেসবুকেই ক্ষমা চেয়েছেন। এই মিরসাদ নামের শিশুটি মাইলস্টোনে পড়ত এবং তাকে আমিনুলের মামাতো ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। ফেসবুক পোস্টে আমিনুল লিখেছেন, ‘আমি নিজ থেকে এই বিষয় বলতেছি যে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা, অহেতুক তথ্য আমি যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছি।...’

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ছবি বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করা এসব ছবি আদতে এআই দিয়ে বানানো

গতকাল বুধবার আমিনুল মুনতাসিরের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ক্ষমা চাওয়ার পোস্টসহ মিরসাদকে কেন্দ্র করে যতগুলো পোস্ট দিয়েছিলেন, তা সব ডিলিট বা মুছে দিয়েছেন। তবে প্রথম আলোর কাছে তাঁর সব পোস্টের স্ক্রিনশট আছে। শুধু তা–ই নয়, প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক মাইলস্টোন স্কুল ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, মাইলস্টোনের ঘটনায় মিরসাদ নামের কোনো বাচ্চা মারা যায়নি এবং শার্টে লেগে থাকা মাংস থেকে কোনো ডিএনএ টেস্ট করা হয়নি। এই দুই প্রতিবেদক আমিনুলের সঙ্গে মিরসাদের তথ্য প্রমাণ চেয়ে তাঁর মেসেঞ্জারেও কথা বলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, তাঁর পরিবার চায় না মিরসাদকে নিয়ে কোনো প্রতিবেদন হোক।

‘বাচ্চাগুলোকে মরার আগেই মাইরেন না, প্লিজ’

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দীপ্ত নামের এক শিশু ভর্তি। গত মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এই দীপ্তসহ আরেকজন শিশুকে অনেকে মেরে ফেললেন। গণমাধ্যমকর্মী জাকিয়া আহমেদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখলেন, ‘মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে দীপ্তসহ আরও একজনের মৃত্যুর গুজব যাঁরা ছড়াচ্ছেন, দোহাই লাগে ক্ষান্ত দেন। মা–বাবার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন। বাঁচবে কি বাঁচবে না, সেটা আমরা কেউ জানি না। কিন্তু বাচ্চাগুলোকে মরার আগেই মাইরেন না, প্লিজ।’

অন্যদিকে আফরোজ রুমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলছেন, তাঁর ছেলে আইদ আরহাম রাইম মাইলস্টোন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ভালো আছে। ২১ জুলাই স্কুলে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই তিনি ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসেন। তবে এ মায়ের পোস্টে তেমন কাজ হচ্ছে না। সেদিনের ঘটনায় পুরো শরীর দগ্ধ হওয়া অন্য এক বাচ্চার ছবির পাশে আইদ আরহামের স্কুলড্রেস পরা ছবি দিয়ে একাধিক পোস্টে বলা হচ্ছে, আরিয়ান নামের এই বাচ্চা মারা গেছে।

প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম জাহিদের ছেলে সায়ের মাহবুব মাইলস্টোন স্কুলের ইংরেজি ভার্সনে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন ছেলেকে খুঁজে পেতে চার ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এর আগে তিনি ফেসবুকে ছেলের একটি ছবি দিয়ে ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে পোস্ট দিয়েছিলেন। এরপর ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার পরও ফেসবুকে পোস্ট এবং ২২ জুলাই ‘মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পর ছেলের খোঁজে রুদ্ধশ্বাস ৪ ঘণ্টা’ শিরোনামে তাঁর একটি লেখাও প্রথম আলোতে ছাপা হয়।

তবে দু–একটি অনলাইন পোর্টাল ও ভিউ ব্যবসায়ীদের অনেকেই সায়েরের হাসিমুখের ছবি দিয়ে সরাসরি বলে দেন, সায়ের মারা গেছে। সেলিম জাহিদ বললেন, ‘বাবা-মায়েদের জন্য এটি খুবই দুঃখজনক।’

এ ধরনের রিলস আতঙ্ক বাড়াচ্ছে

বিভিন্ন রিলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে, মিলাদ পড়ানো হয়েছে—এমন তথ্যও দেওয়া হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এ ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারকে কত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা–ও বলা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সব থেকে বেশি গুজব ছড়ানো হয়েছে।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকের বিভিন্ন রিল ও পোস্টে স্কুলের ২০০ বাচ্চা মারা গেছে বলেও বলা হয়েছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। স্কুলকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে আছে এক শিক্ষার্থীর জুতা। ২১ জুলাই

২৪ জুলাই রাজধানী উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়, বেলা ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বেলা ১টায় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় তখন অভিভাবকদের জন্য স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অপেক্ষা করছিল।

স্কুলটির শিক্ষক পূর্ণিমা দাসসহ অন্য শিক্ষকেরাও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য বারবার অনুরোধ করছেন।

মাইলস্টোন স্কুলের কো–অর্ডিনেটর মাহরীন চৌধুরীর স্বামী মো. মনসুর হেলাল বলেন, ‘মাইলস্টোনের ঘটনায় নিহতদের নিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট, রিলস, যেগুলো বানানো হচ্ছে, তা খুবই প্যাথেটিক। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, শুধু তারাই জানে ক্ষতটা কতটা গভীর। ভিউ কামানোর জন্য করা এই নোংরা পোস্টগুলো আমাদেরও নজরে এসেছে। যারা এগুলো করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।’