ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

প্রথম আলোয় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আরও ২ আসামি কারাগারে

প্রথম আলো কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আরও দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন চাঁদপুরের মো. রুবেল হোসেন (৩৮) ও নাজমুল হাছান (২১)।

এই দুজনকে নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হলো। আর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় মোট ৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার পরিদর্শক আবদুল হান্নান আসামি রুবেল ও নাজমুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, রুবেল হোসেন প্রথম আলো ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় রুবেল প্রথম আলো ভবনে প্রবেশ করে টাকার ব্যাগ ভেবে একটি শপিং ব্যাগ নিয়ে যান। পরে সেই ব্যাগে সিকিউরিটি পোশাক থাকায় ব্যাগটি ভবনের সামনে ফেলে দেন। আর আসামি নাজমুল হাছানও প্রথম আলো ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় প্রথম আলো ভবনে ইটের টুকরা দিয়ে ঢিল মেরেছেন মর্মে তিনি স্বীকার করেছেন। ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ভিডিও ও ছবি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে জনগণকে উত্তেজিত করার লক্ষ্যে উৎসাহিত করেন। এখন মামলার তদন্ত চলছে। আসামিরা জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

১৮ ডিসেম্বর রাতে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

মামলায় দাঙ্গা সৃষ্টি করে অবৈধভাবে কার্যালয়ে ঢুকে লুটপাট, ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ, ভয় দেখানো ও অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম আলোর প্রকাশনা বন্ধ ও অফিসের কাজে বাধা দিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, অনলাইনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নির্দেশনা দেওয়া ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজের অভিযোগও করা হয়েছে। শুধু লুটপাট হওয়া সম্পদের মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। এ হামলার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।