চাঁদপুরের সেলিম খান চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন

সেলিম খান
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগাম জামিন চেয়ে সেলিমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেলিমকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে তাঁকে এই সময়ের মধ্যে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

মামলায় এর আগে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন সেলিম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাঁকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নতুন করে আগাম জামিনের আবেদন করেন সেলিম, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

আজকের শুনানিতে সেলিমের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘এর আগে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। তবে মামলার নম্বরে ভুল ছিল। তাই তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হলেও তাঁর আত্মসমর্পণ গ্রহণ করা হয়নি। হাইকোর্টের আদেশে মামলার নম্বরে ১-এর পরিবর্তে ৯ উল্লেখ থাকায় বিষয়টি সংশোধনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতি আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য এই বেঞ্চে পাঠান। তবে ইতিমধ্যে তিন সপ্তাহ সময় শেষ হওয়ায় সংশোধন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারী (সেলিম) যাতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে জন্য নির্দেশনা চাচ্ছি।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, আগে হাইকোর্ট সেলিমকে আগাম জামিন দেননি। আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আত্মসমর্পণ না করায় তিনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন না। শুনানি নিয়ে আদালত সেলিমের চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন ও মনিরুল ইসলাম শুনানিতে ছিলেন। এ ছাড়া সেলিমের পক্ষে আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সেলিমের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১ আগস্ট মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসংগতি পাওয়া গেছে।