তরুণেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে নানা কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। তাঁরা নিজেদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। তাঁদের আরও উৎসাহিত করতেই অনুষ্ঠিত হলো এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫।
শনিবার ঢাকার ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় অনুষ্ঠিত এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশ থেকে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক ও প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নেন। এই আয়োজনের সহযোগী অংশীদার ছিল প্রথম আলো।
অনুষ্ঠানে সার্বিক কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫-এর আহ্বায়ক ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস। তিনি বলেন, ‘এই অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম লুৎফর রহমান, প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মুনির হাসান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল একটি প্রযুক্তি নয়। এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান ও মানবিক উন্নয়নে এক কার্যকর হাতিয়ার। এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ সেই বাস্তবতা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছে। তাঁরা বলেন, এই আয়োজন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের তরুণেরা এখন শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নন, বরং তাঁরা উদ্ভাবনের শক্তি নিয়েই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
দিনব্যাপী আয়োজনে তিনটি কর্মশালা ছিল। এতে বাস্তব জীবনে এআইয়ের প্রয়োগ, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই তিন স্তরে প্রজেক্ট জমা দেন। বিচারকাজে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই, সিআইএস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষক অংশ নেন।
বিজয়ীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প নির্বাচন করে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ ট্রফি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ স্কোরারকে একটি ল্যাপটপ দেওয়া হয়।