Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

গ্রামীণফোন

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সোমবার এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি গ্রামীণফোনকে পাঠানো হয়েছে। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন খাইরুল বাশার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিটিআরসি গত ২৯ জুন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে অপারেটরটি প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজারের মতো সিম বিক্রি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এ ছাড়া তারা ৩৫ লাখের মতো গ্রাহক হারিয়েছে।

বিটিআরসির হিসাবে, গত অক্টোবর মাস শেষে গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিমসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৪ লাখের কিছু বেশি, যা গত মে মাসের তুলনায় প্রায় ৩৫ লাখ কম। নতুন সিম বিক্রি করতে না পারলে অপারেটরগুলোর গ্রাহক কমে যায়। কারণ, সাধারণত সক্রিয় সিমের একটি অংশ নিয়মিত নিষ্ক্রিয় হয়।

Also Read: নিষেধাজ্ঞার পর গ্রামীণফোন ৩৫ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে

গ্রামীণফোন বলছে, সেবার মান বাড়াতে যা যা করণীয়, তার সবই তারা করছে। তরঙ্গ কিনে তার একাংশ নেটওয়ার্কে স্থাপন করেছে। বাকিটা স্থাপনে কাজ চলছে। নতুন নতুন টাওয়ার বসানো হচ্ছে। টাওয়ারগুলো অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল দিয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। অপারেটরটির দাবি, এসব পদক্ষেপের ফলে তাদের সেবার মান বেড়েছে। আসলেই মান বেড়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা ও সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে চিঠিও দিয়েছিল গ্রামীণফোন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত রোববার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে আজ (রোববার) বিটিআরসির কাছ থেকে রিপোর্ট এসেছে। আমি দেখেছি, গত ছয় মাসে গ্রামীণফোন অবকাঠামোগত যে উন্নতি করেছে, সেটা উল্লেখযোগ্য।’ তিনি বলেন, ‘গ্রাহকসেবার মান বাড়াতে আমরা তাদের সিম বিক্রি বন্ধ করেছিলাম, যাতে আরও গ্রাহক তৈরি করে ভোগান্তি না বাড়ে। আমাদের দেখার বিষয় ছিল, তারা কী কী অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছে। আজকে যেটা দেখেছি, সেটা মোটামুটি সন্তোষজনক।’