
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রেজওয়ান আলী সরকারি সফরে গেলেন মালয়েশিয়ায়। এই সফরের সঙ্গে তাঁর বর্তমান দায়িত্বের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা তিনি নিজেও মানেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের খরচে তাঁকে বিদেশ সফরের এই দলে রাখে বলে জানান তিনি।
এতে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে—সরকার বিদেশ সফর সীমিত করতে চার দফা নির্দেশনা দেওয়ার পরও কীভাবে এই সফরে তার অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন পেল?
রেজওয়ান আলী প্রথম আলোকে বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে তাই তাঁকে যুক্ত করেছে। এ ছাড়া আগে তিনি ইনোভেশন টিমের সদস্য ছিলেন এবং প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
হাইটেক পার্কের ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের খরচে পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষকসহ ১৫ জন এই মালয়েশিয়া সফরকারী দলে ছিলেন। তাঁরা ‘নলেজ শেয়ারিং ওয়ার্কশপ ফর এনহ্যানচিং দ্য ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে’ অংশ নেন। আয়োজনটি ১০ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পিছিয়ে ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
সরকারি কোনো অর্থ খরচ করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সফরগুলোই হচ্ছে। সফরের বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কর্মকর্তাদের সফরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।—শীষ হায়দার চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের সচিব
হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রেজওয়ান আলী ছাড়াও এই দলে আরও ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, আইসিটি বিভাগের উপসচিব এস এম শফিক (বাজেট ও নিরীক্ষা শাখা) ও আবদুল্লাহ আল মামুন (পরিকল্পনা শাখা) এবং হাইটেক পার্কের পরিচালক (কারিগরি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
হাইটেক পার্ক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) অধীন সংস্থা। এই বিভাগ থেকে গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত জারি হওয়া বিদেশ সফরের আদেশ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিভাগ ও অধীন সংস্থার অন্তত ২৩ জন কর্মকর্তার নামে বিদেশ ভ্রমণ আদেশ জারি হয়েছে।
অথচ অন্তর্বর্তী সরকার গত দেড় বছরে চারবার বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করে পরিপত্র জারি করেছে। বিভাগের এসব সফরে সরকারের নির্দেশনার অনেকগুলোই মানা হয়নি। এমনকি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরও কমেনি।
৯০-এর দশকের পর থেকে সব সরকারের আমলেই বিদেশ সফরের প্রবণতা বেড়ে যায়। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব সময় নিরুৎসাহিত করার নির্দেশ জারি হয়, কিন্তু তা মানা হয় না। এটা যাঁরা যান তাঁদের এবং সরকারের দায়বদ্ধতার অভাব।—এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সাবেক রেক্টর
কার্যক্রম নিষিদ্ধ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেখা গেছে, পুকুর খনন শিখতেও সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে যেতেন। তবে ডলার–সংকট ইস্যু ও কৃচ্ছ্রতা সাধনের কারণে ওই সরকার শেষ দিকে বিদেশ সফর নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এসেও গত ডিসেম্বর, মার্চ, জুলাই ও অক্টোবরে বিদেশ সফর-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়।
এসব নির্দেশনার পরও বিদেশ সফর থেমে নেই। সব সফর সরকারি খরচে না হলেও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টাকায় এসব সফর করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১৩ দফা নির্দেশনা দেয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে আছে—বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা; বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটি তালিকা জানানো; বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডেটাবেজ তৈরি করা (প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে); সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করা এবং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে।
কোনো ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না, গত মার্চে অন্তর্বর্তী সরকার জারি করেছিল এই নির্দেশনা।
তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানেরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়।
এরপর চলতি বছরের মার্চে সরকার আবারও নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, কোনো ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এরপর জুলাই মাসে সরকার আরেকটি নির্দেশনা দেয়।
গত ২১ অক্টোবর আরেকটি পরিপত্র জারি করে উপদেষ্টার কার্যালয় বলেছে, অপরিহার্য কারণ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগপর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
এতে আরও বলা হয়েছে, আগের জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে।
ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, কোরিয়া ও কম্বোডিয়ায় গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নানা আয়োজনে যোগ দিচ্ছেন আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এর কয়েকটি সফরের ব্যয় আয়োজক সংস্থা বহন করছে, কয়েকটি প্রকল্পভিত্তিক।
এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত স্টার্টআপ বুটক্যাম্পে যোগ দিতে হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এস এম লোকমান এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নামে ভ্রমণ আদেশ জারি হয়।
গত ২১ অক্টোবর আরেকটি পরিপত্র জারি করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বলেছে, অপরিহার্য কারণ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগপর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
গত ১২ থেকে ১৬ অক্টোবর ডিজিটাল গভর্ন্যান্স, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড এআই অ্যাডাপশান ফর পাবলিক সার্ভিস নিয়ে সিঙ্গাপুর-কাতার-এশিয়া মিডল ইস্ট ডায়ালগ ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আইসিটি বিভাগের উপসচিব মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের নামে ভ্রমণ আদেশ হয়।
কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত টেকনোলজি কমার্শিয়ালাইজেশন অব দ্য আইসিটি এক্সপার্ট ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে ভ্রমণ আদেশ হয় হাইটেক পার্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহাবুল আলম ও আইসিটি অধিদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মহুয়া মজুমদারের নামে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) খরচে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ‘আ গ্লোবাল ট্রেনিং পয়েন্ট: হোয়াই ইয়ুথ ওয়েল–বিং ইজ ইন ক্রাইসিস-অ্যান্ড হোয়াট উই মাস্ট ডু অ্যাবাউট ইট’–এ অংশ নিতে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদের নামে ভ্রমণ আদেশ হয়।
স্পেনে অনুষ্ঠিত ২৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ‘স্টাডি ট্যুর অন ডিজিটালাইজেশন’–এ অংশ নিতে আইসিটি অধিদপ্তরের উপসচিব মো. মাহবুব আলম ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক এস কে মোস্তাফিজুর রহমানের নামে ভ্রমণ আদেশ হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান আগামী ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিলিপাইনে ‘আইটিপিইসি কোয়েশ্চেন ফরমুলেশন মিটিং’–এ অংশ নেবেন। আয়োজকেরাই এর খরচ দেবে।
আইসিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে আগে অন্তত পাঁচ বছরের ভ্রমণ আদেশ দেখা যেত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এ মন্ত্রণালয়ের আগের আদেশগুলো আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ ভ্রমণের জিও অপশনে ক্লিক করলে শুধু সর্বশেষ ১৭টি আদেশ দেখা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল আইটি চ্যালেঞ্জ ফর ইয়ুথ উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ২০২৫’–এ অংশ নিতে ভ্রমণ আদেশ হয় বিসিসির পরিচালক মো. জাফুরুল আলম খানের নামে।
কম্বোডিয়ায় আগামী ৪ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘নাইনথ সেশন অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপারহাইওয়ে স্টিয়ারিং কমিটি এবং রিজিওনাল রিভিউ অব দ্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি’তে অংশ নেবেন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন। উল্লিখিত সফরগুলোর খরচ আয়োজক সংস্থা বহন করে।
এ ছাড়া আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মর্তুজা জুলকারনাইন নোমান ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জার্মানির বার্লিনে ‘এশিয়া বার্লিন সামিট ২০২৫’–এ অংশ নেবেন। এর খরচ বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে বহন করা হবে।
সরকারের নির্দেশনার পরও এসব সফর প্রসঙ্গে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কোনো অর্থ খরচ করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সফরগুলোই হচ্ছে। সফরের বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কর্মকর্তাদের সফরের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিসিসির ডেটা সেন্টারের অন্যতম বড় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সরকার গত ২৩ মার্চের নির্দেশনায় বলেছে, কোনো ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
অথচ ওই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২ থেকে ৭ নভেম্বর হুয়াওয়ের খরচে বিদেশ সফর করেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পাঁচ কর্মকর্তা। হুয়াওয়ের আয়োজনেই চীনে ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড স্ট্যাক অ্যান্ড ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হয়।
হুয়াওয়ের খরচে বিদেশ সফর করা ওই পাঁচ কর্মকর্তা হলেন—বিসিসি পরিচালক এস কে মফিজুর রহমান, প্রশাসক সুমন কুমার পাটোয়ারী, সহযোগী আম্মার আশরাফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান ও সহযোগী সালমা সুবহা মালিহা।
পরিপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খরচে যাওয়া সরাসরি বিদেশ সফর নিষিদ্ধ হলেও আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলছেন, হুয়াওয়ের সঙ্গে তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ চুক্তি আছে। চুক্তি অনুযায়ী এ সফর হচ্ছে।
আইসিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে আগে অন্তত পাঁচ বছরের ভ্রমণ আদেশ দেখা যেত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এ মন্ত্রণালয়ের আগের আদেশগুলো আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ ভ্রমণের জিও অপশনে ক্লিক করলে শুধু সর্বশেষ ১৭টি আদেশ দেখা যায়। পরের পাতায় যাওয়ার অপশন কাজ করছে না।
ওয়েবসাইটে আগের ভ্রমণ আদেশ দেখতে না পাওয়া প্রসঙ্গে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সাবেক রেক্টর এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ’৯০-এর দশকের পর থেকে সব সরকারের আমলেই বিদেশ সফরের প্রবণতা বেড়ে যায়। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব সময় নিরুৎসাহিত করার নির্দেশ জারি হয়, কিন্তু তা মানা হয় না। এটা যাঁরা যান তাঁদের এবং সরকারের দায়বদ্ধতার অভাব।
যে প্রতিষ্ঠান খরচ দিয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিয়ে যাচ্ছে, তারা ওই কর্মকর্তাদের ব্যবহার করছে কি না এবং কীভাবে নিজেদের সুবিধা আদায় করবে, সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।