Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলবে ১০ অক্টোবর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতুতে ট্রেন। গত ৪ এপ্রিল সেতুর মাওয়া প্রান্তে

আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ উদ্বোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন। ওই দিন একটি সুধী সমাবেশও হবে। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। শুরুতে একটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। প্রকল্প কার্যালয় থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রয়েছে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাঙ্গা পর্যন্ত আসে। এই ট্রেন ঢাকা পর্যন্ত আনা হতে পারে। পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে চীন থেকে ১০০ নতুন কোচও কেনা হয়েছে। নতুন কোচ দিয়েই ট্রেন চালু করা হবে।

রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনের সময় সব স্টেশন এবং পুরো সংকেতব্যবস্থা হয়তো চালু করা যাবে না। শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামার ব্যবস্থা থাকবে। স্টেশনগুলো হচ্ছে মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। মুন্সিগঞ্জের নিমতলা স্টেশনটিও চালুর চেষ্টা চলছে।

প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩ মে অনুমোদন করা হয়। সে সময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

Also Read: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গায় ট্রেন যাবে ৭ সেপ্টেম্বর

এই রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে চীনের অর্থায়নে, জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) ভিত্তিতে। প্রকল্পের কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বাকি অর্থ ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম জানান, আগামী মাসের শেষ দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথ নির্মাণ করা নতুন রেলপথটি উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে এখনো প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া যায়নি। তবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই পাওয়া যাবে। এর আগে আগামী ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথও উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন। এ সময় আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নির্মিত আন্তদেশীয় রেলপথটিও উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করতে পারেন এই রেলপথ। আখাউড়া-আগরতলা ও খুলনা-মোংলা—এ দুটি রেলপথ ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে।

Also Read: আগামী বছরের জুন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী