সন্তান জন্মদানের পরের ২৪ ঘণ্টা মা ও নবজাতকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিম্ন আয়ের পরিবারের মায়েরা এই সেবায় তেমন সচেতন নন। ফলে দুজনই নানা মারাত্মক জটিলতার শিকার হন। এমনকি অনেক সময় দুজনের মৃত্যুও হতে পারে। এ জন্য তাঁদের সচেতন করে তোলার বিকল্প নেই।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের ২৪ ঘণ্টা মা ও নবজাতকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। পোস্টন্যাটাল কেয়ার (পিএনসি) বা প্রসবোত্তর সেবার গুরুত্ব বোঝাতে চিকিৎসকেরা এ বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে প্রান্তিক মায়েদের কানে সে গুরুত্বের বার্তা কতটা গেছে, নিম্ন আয়ের পরিবারের ১৭ জন মায়ের সঙ্গে কথা বলে তার একটা চিত্র পাওয়া গেল, যা বেশ হতাশাজনক। ফলে গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের পর পরিবারের অসচেতনতা, উদাসীনতা ও উপেক্ষায় চরম স্বাস্থ্যহানির শিকার হচ্ছেন সেই সব পরিবারের অধিকাংশ প্রসূতি।
গত ২২ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ) ঘুরে এমন অনেক নারীকে পাওয়া গেল, যাঁরা ‘শরীরের বারোটা বাজিয়ে’ চিকিৎসা নিতে এসেছেন বড় হাসপাতালে। তাঁদের একজন টাঙ্গাইলের মাহফুজা আক্তার (২৫)। তাঁর ৬ বছর ও সাড়ে ৫ মাস বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে। স্বামী মো. আশরাফ অটোরিকশাচালক।
হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের পঞ্চম তলায় পেলভিক মেডিসিন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন মাহফুজা প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম মেয়ে গর্ভে আসার পর থেকে প্রসব পর্যন্ত তিনি কোনো দিন চিকিৎসকের কাছে যাননি। বাড়িতেই সন্তান প্রসব হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানের সময়ও চিকিৎসকের কাছে যাননি।
তবে এবার আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। বাড়িতে সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে গিয়ে দুটি সেলাই দিতে হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সেলাই ফেটে তিনি শারীরিক কষ্টে পড়েন। চিকিৎসকের কাছে গেলে ধরা পড়ে, বাড়িতে প্রসবকালে জটিলতা থেকে তিনি ফিস্টুলায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মল ঝরে। অস্ত্রোপচারের জন্য এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এমনই আরেকজন নাজমা বেগম (৩০)। তাঁর মা কোহিনূর বেগম মেয়ের কষ্টকে ‘কপালের দোষ’ উল্লেখ করে বলছিলেন, ‘বাচ্চাও বাঁচল না, মেয়েও অসুস্থ হইল।’
চাঁদপুরের হাইমচর থেকে জটিল অবস্থায় মেয়েকে গত রমজানের সময় হাসপাতালে আনেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পর নাজমার সন্তান নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চার দিন বেঁচেছিল। এটি তাঁর তৃতীয় সন্তান ছিল। তাঁর মা বলছিলেন, নাজমা এখন সুস্থই থাকে না। গর্ভাবস্থায় তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসক দেখানো হয়নি। এখন ঋণ করে ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ চালাতে হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, অপুষ্টি, গর্ভকালীন সেবা বা অ্যান্টেন্যাটাল কেয়ার (এএনসি) না নেওয়া, বাড়িতে প্রসব করালে অনেক সময় পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিএনসি নিলে মা ও শিশুর কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছে কি না, দ্রুত তা শনাক্ত করা যায়। এতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে সেবা নেওয়াকে পিএনসি বলে।
২০২২ সালের বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মা ও নবজাতক মৃত্যুর অধিকাংশই হয়ে থাকে সন্তান প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। ফলে প্রসবের সময় কোনো জটিলতা দেখা দিলে মা ও শিশু—দুজনের দ্রুত প্রসব–পরবর্তী সেবা (পিএনসি) নিশ্চিত করা জরুরি। পিএনসি পেলে মায়েরাও জানতে পারেন, কীভাবে নিজের ও নবজাতকের যত্ন নিতে হয়। তাই নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রসবের প্রথম দুই দিনের মধ্যে পিএনসি নেওয়ার কথা বলা হয়।
২০২২ সালের বিডিএইচএস প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব, অর্থাৎ হাসপাতালে এসে সন্তান প্রসব ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশ হয়েছে। এরপরও যেসব মা হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন, তাঁদের মধ্যেও ২২ শতাংশ পিএনসি নেন না। আর যেসব মা বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন, তাঁদের ৮৭ শতাংশই পিএনসি নেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রথম দুই দিনে প্রতি ১০০ মায়ের মধ্যে ৪৫ জনই চিকিৎসাসেবা নেন না। প্রসবের দুই দিনের মধ্যে মাত্র ৫৫ শতাংশ মা চিকিৎসকসহ প্রশিক্ষিত সেবাদানকারীর কাছে পিএনসি নেন। ২০১৭-১৮ সালের বিডিএইচএস প্রতিবেদনে এই হার ছিল ৫৩।
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যায় বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম প্রথম আলোকে বলেন, প্রসূতিদের অন্তত চারটি পিএনসি নিতে বলা হয়। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় একটি; দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে একটি; চতুর্থ বা পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে একটি এবং ৪২ দিনে একটি। পিএনসি খুব জরুরি হলেও দেশে এটি খুব উপেক্ষিত। হাসপাতালে মাতৃমৃত্যুর ৫ শতাংশ গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ (এপিএইচ) এবং ৩০ শতাংশ ঘটে প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণে (পিপিএইচ)।
বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে প্রতি লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান ১৫৬ জন প্রসূতি। গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পর ৪২ দিনের মধ্যে মৃত্যুকে ‘মাতৃমৃত্যু’ বলা হয়। বিডিএইচএসের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১ হাজার জীবিত শিশু জন্মের সময় ২০টি নবজাতকের (জন্ম থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত) মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক ফেরদৌসী বলছিলেন, নিরাপদ প্রসব না হলে জননাঙ্গে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে। প্রসবের আগে থেকে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর যথাযথ যত্ন নিলে এবং হাসপাতালে নিরাপদ পরিবেশে প্রসব হলে পরের ঝুঁকি কমে যায়।
দেড় বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ প্রসবের জের টানছেন সিলেটের ছাতক উপজেলার চামেলী বেগম (২২)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেলভিক মেডিসিন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি ইউনিটের শয্যায় বসে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ছয় বছর আগে রমিজ আলীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নিম্ন আয়ের এই দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান রয়েছে। দেড় বছর আগে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে তিনি ছাতকে মায়ের বাড়িতে চলে যান। তখন মায়ের বাড়িতে বন্যার পানি ওঠে। হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে প্রসবের চেষ্টা করেন। অদক্ষ ধাত্রী শিশুর মাথা অর্ধেক বের করে আর প্রসব করাতে পারছিলেন না।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় চামেলীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত সন্তান প্রসব হয়। প্রসব–জটিলতায় তিনি ফিস্টুলায় আক্রান্ত হন। এখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রস্রাব ঝরে। দুবার অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন ভালো ছিলেন। কিন্তু পরে আবার সমস্যা দেখা দেয়। এখন তৃতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
ডিএমসিএইচের ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে (একলাম্পসিয়া) কথা হচ্ছিল সুমির (২৫) সঙ্গে। এ সময় তাঁর হাতে স্যালাইন লাগানো। পাশের একটি খালি শয্যায় তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। শিশুটির নানি ফাতেমা বেগম বসে ছিলেন। সুমি বললেন, তিনি ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। খিঁচুনি শুরু হলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। তবে ঢাকায় চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন।
সুমি বললেন, ‘পুষ্টি কোথায় পাব বলেন! দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারি না। বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, তাই গরিব ঘরে বিয়ে হইছে।’ তাঁর অভিযোগ, নিয়মিত চিকিৎসক দেখাতে পারেন না। স্বামীর নিয়মিত আয় নেই। শ্বশুরের অবসর ভাতা দিয়ে পুরো সংসার চলে। এ নিয়ে শাশুড়ি সারাক্ষণ খোঁচা দেন, কাজে ভুল ধরে স্বামীর কাছে বিচার দেন। তিনি একটু বিশ্রামেরও সুযোগ পান না।
একই ওর্য়াডে শয্যায় শুয়ে ছিলেন লিকলিকে গড়নের মানসুরা (২১)। চাঁদপুর থেকে আসা মানসুরা আগের রাতে ১ হাজার ৭০০ গ্রাম ওজনের সন্তান জন্ম দিয়েছেন। শিশুটিকে এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে। এই প্রতিবেদক কথা বলার সময় মানসুরার মা শাহিনূর বেগম কেবল মেয়ের ‘ভাগ্য’কে দুষছিলেন। বারবার বলছিলেন, স্বামীর কাছে তাঁর মেয়ের যত্ন হয়নি। এ কারণে কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়েছে। এটা তাঁর মেয়ের প্রথম সন্তান।
বিডিএইচএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বা এর বেশি বার গর্ভকালীন সেবা নেওয়ার হার আগের চেয়ে ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশে। চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে এই হার ৫০–এ উন্নীত করা। এ ছাড়া মানসম্মত চার বা এর বেশি বার গর্ভকালীন সেবা পাওয়ার হার মাত্র ২১।
এখানে ‘মানসম্মত’ বলতে বলা হয়েছে, চারবার সেবা নেওয়ার মধ্যে অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া; ওজন ও রক্তচাপ মাপা; রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা এবং গর্ভকালীন সম্ভাব্য বিপজ্জনক লক্ষণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া। সরকারি হাসপাতালে এএনসি, পিএনসি—দুটি সেবাই বিনা মূল্যের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (মাতৃস্বাস্থ্য) আজিজুল আলিম প্রথম আলোকে বলেন, প্রসবের পর রক্তক্ষরণে মাতৃমৃত্যু বেশি হয়। তাই পিএনসি নেওয়ার বিকল্প নেই। যাঁদের হাসপাতালে প্রসব হয়, তাঁদের অনেকে প্রথম পিএনসি নিয়ে চলে যান। দ্বিতীয়বার আসেন না। তাঁরা ভাবেন, সমস্যা না হলে যেতে হবে না। আর বাসায় প্রসব হলে বেশির ভাগ মা-ই প্রসবোত্তর সেবা নিতে চান না। কিন্তু মা ও শিশুর সুরক্ষায় প্রসবের পরের জটিলতা প্রতিরোধে এই সেবা নেওয়া উচিত।
আজিজুল আলিম বলেন, প্রসবের পর নিয়ম মেনে সেবা নিতে সবাইকে সচেতন করতে সরকার মাঠপর্যায়ে সচেতনতামূলক কাজ করছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে যাঁরা প্রথম প্রসব–পূর্ব সেবা নিতে আসেন, তাঁদের প্রসব-পরবর্তী সেবার গুরুত্ব বুঝিয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত ৪৩০ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩৩টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা পর্যায়ে ১০ থেকে ২৫০ শয্যার ১২৩টি হাসপাতালসহ মোট ৫৮৬টি সরকারি হাসপাতালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে প্রথমবার পিএনসি নিয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মা। দ্বিতীয়বার সেই সেবা নেওয়ার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখে। এই সময়ে হাসপাতালগুলোতে ৩৬৬ মা ও ৪ হাজার ৩১৮ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে প্রতি লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান ১৫৬ জন প্রসূতি। গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পর ৪২ দিনের মধ্যে মৃত্যুকে ‘মাতৃমৃত্যু’ বলা হয়। বিডিএইচএসের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১ হাজার জীবিত শিশু জন্মের সময় ২০টি নবজাতকের (জন্ম থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত) মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, প্রসব–পরবর্তী সেবা নিতে মায়েদের আগ্রহী করতে ও এই সেবা নিতে মাকে হাসপাতালে পাঠাতে পরিবারগুলোর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রসবের সময় কোনো মায়ের অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা, উচ্চ রক্তচাপ থেকে গেলে তা পিএনসিতে শনাক্ত হয়। সন্তান প্রসবের পর মায়েদের জন্মনিরোধসামগ্রী ব্যবহারে সচেতন করা যায়।
কারণ, এই সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি তৈরি হয়। একজন নতুন মা ভালো করে জানেন না, কীভাবে সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে হয়। এ সময় পিএনসি সেবা নিতে এলে মায়ের সঙ্গে সন্তানেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে যায়।
অধ্যাপক ফেরদৌসী আরও বলেন, পিএনসি নেওয়ার হার বাড়াতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সঙ্গে এই সেবাকেও যুক্ত করতে হবে। এতে প্রসবের ৪২ দিনের দিন সন্তানকে প্রথম ডোজের টিকা দিতে এসে মা–ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন।
পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে যেন মায়েরা মানসম্মত সেবা পান, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া প্রসবের সময় ঝুঁকি কমাতে বাল্যবিবাহ রোধে উদ্যোগ নিতে হবে।