জিপিএইচ ইস্পাত–প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রেজেন্টেশনে অতিথি ও বিচারকদের সঙ্গে প্রতিযোগীরা। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ক্যাম্পাসে। ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি
জিপিএইচ ইস্পাত–প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রেজেন্টেশনে অতিথি ও বিচারকদের সঙ্গে প্রতিযোগীরা। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ক্যাম্পাসে। ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি

জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস

দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত

দেশের ভৌত কাঠামো বিনির্মাণে আরও বেশি সচেতন ও পেশাদারি মনোভাব গড়ে তুলতে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য জিপিএইচ-ইস্পাত ও প্রথম আলো যৌথভাবে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’। এই আয়োজনে একাডেমিক পার্টনার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) পুরকৌশল বিভাগ কার্যক্রমটি সমন্বয় করছে।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রেজেন্টেশনের জন্য নির্বাচিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ২৪টি দল তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। জমাকৃত রিপোর্টের ওপর প্রেজেন্টেশন পর্ব আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজকেরা জানায়, এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের মোট ১৮৮টি দল নিবন্ধন করেছিল। সেখানে ধাপে ধাপে এই ২৪টি দল নির্বাচন করা হয়। এই প্রেজেন্টেশন পর্ব শেষে বিচারকদের রায়ের ভিত্তিতে সেরা ১০টি দলকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

প্রেজেন্টেশন পর্বে অংশগ্রহণ করা দলগুলো হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিল অ্যান্ড স্টোনস এবং ফিউশন ট্রিনিটি; ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডুয়েট থ্রি নট থ্রি এবং টিম ফিনিক্স, ডুয়েট; খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাবল স্ট্রাকচার; মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইমারত বিল্ডার্স এবং ব্রেইনিয়াক্স; রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল ক্যাটালিস্ট, রুয়েট জেনেসিস এবং ক্যান্টিলিভার; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট সিভিলিয়াস, লগারিদমিক স্পাইরাল, সাস্ট ইথেরিয়াল লুমিনারি এবং সাস্ট ভ্যানকুইশার; সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ব্রিজ বিল্ডার্স এবং সেক নির্মাণ; ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের বাকলিং বফিনস, ইকিউলিব্রিয়াম ইঞ্জিনিয়ার্স, এ্যাডিফিস পিলার্স এবং বিল্ড ট্যু লাস্ট ব্রিগেড; ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ইউআইটিএস দ্য সেন্ট্রয়েড; উত্তরা ইউনিভার্সিটির টিম ইউইউ২৯।

প্রেজেন্টেশন পর্বের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। তিনি বলেন, দেশে আগামী দিনের পুরকৌশলীদের গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীম আহমেদ, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জহুরা, সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক নূর মো. সার্দিকুল হাসান, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক মো. নওরোজ ফাতেমী, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাব্বির রহমান, সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা রহমান, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জামাল, সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম এবং প্রভাষক মো. নাজমুল আলম, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং স্ট্রাকচারাল কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল মোরশেদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নেহরীন মাজেদ, জিপিএইচ ইস্পাতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. নূরুল করিম সিফাত, প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান, ইভেন্ট বিভাগের উপব্যবস্থাপক বায়েজিদ ভূঁইয়া। কর্মশালাটি সমন্বয় করেন প্রকৌশলী আশরাফুল আল-শাকুর ও মো. নূরুজ্জামান নাদিম।