যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়ায় অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অভিযোগ তদন্ত করা ও পদক্ষেপ নেওয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘যৌন হয়রানির অভিযোগ কমিটি: বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা নেই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখান থেকে জানা যায়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রস্তুত করা যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়াতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে গঠিত অভিযোগ কমিটিতে বাইরের কাউকে রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে বাইরের সদস্য রাখা যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে অভিযোগ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। ওই অভিযোগ কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের বাইরের দুজন সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, যৌন হয়রানির ঘটনায় বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণে অনেক সময় ব্যত্যয় ঘটে। অভিযোগ কমিটির কাজ বস্তুনিষ্ঠ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়াতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে গঠিত অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করছে।