প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের প্রার্থীরা। আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের প্রার্থীরা। আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

জকসু নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে কমিশনের পদত্যাগ দাবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তি–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের প্রার্থীরা।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের অভিযোগ, জকসু নির্বাচন কমিশন ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের পক্ষে কাজ করছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছেন।

এ সময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা ‘এক দুই তিন চার, মোস্তফা তুই গদি ছাড়’; ‘জামাতি কমিশন, মানি না মানব না’; ‘দালাল কমিশন, মানি না মানব না’; ‘বিএনপির কমিশন, মানি না মানব না’; ‘অযোগ্য কমিশন, মানি না মানব না’; ‘সব শালারা বাটপার, কমিশন তুই গদি ছাড়’; ‘পক্ষপাতের কমিশন, মানি না মানব না’; ‘চেয়ার ধরে মারো টান, কমিশন হবে খান খান’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, গতকাল ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ জানানো হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগে ছাত্রদল সপ্তাহব্যাপী বারবিকিউ পার্টি করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

ফয়সাল মুরাদ আরও বলেন, ‘গতকাল ছাত্রী হলে প্রজেকশন মিটিংয়ের অনুমতি চাইলে কমিশন জানায়, সেখানে প্রজেকশন মিটিং করা যাবে না। পরে ছাত্রশিবিরকে সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের জানানো হয়, পুরুষ শিক্ষার্থীরা ছাত্রী হলে ঢুকতে পারবে না। অথচ তখনো ছাত্রশিবিরের পুরুষ কর্মীরা ছাত্রী হলে অবস্থান করছিল। এই অযোগ্য কমিশন যদি নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স চুরি হয়, তা কীভাবে রোধ করবে?’

এর আগে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনার বরাবর উদ্বেগ জানিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি করে একটি আবেদন দেওয়া হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনার দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্রী হলে পুরুষ শিক্ষার্থীদের প্রজেকশন মিটিংয়ের অনুমতি দেওয়া এবং একই সঙ্গে সেখানে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনার সুযোগ দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একই সময়ে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেল থেকে প্রজেকশন মিটিংয়ের অনুমতি চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি, যা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিফলন।