পেট্রোবাংলা ভবন
পেট্রোবাংলা ভবন

গ্যাস খাতের পুরো বকেয়া শোধ করেছে পেট্রোবাংলা

বকেয়া বিলের চাপে তিন বছর ধরে ভুগছে দেশের গ্যাস খাত। ডলার–সংকটে নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে পারছিল না বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে চাপ তৈরি করছিল সরবরাহকারীরা। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির খরচও বাড়ছিল। অবশেষে গ্যাস খাতের সব বকেয়া শোধ করেছে পেট্রোবাংলা।

আজ বুধবার পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া শোধ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই তারা এটি শোধ করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বকেয়া ছিল ৭৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।

পেট্রোবাংলা বলছে, নিয়মিত বিল পরিশোধ করে বকেয়া শোধে ভূমিকা রেখেছে গ্যাস খাতের গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ ও সার কারখানা খাত থেকে বকেয়াসহ বর্ধিত বিল আদায় বেড়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোয় বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে পেট্রোবাংলাকে। সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি), দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি ও খোলাবাজার থেকে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহকারী, দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্সের (আইটিএফসি) ঋণের সুদসহ দেনা পরিশোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বকেয়া শোধ করার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জ্বালানি খাত এবং পেট্রোবাংলা বেশ কিছু সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এর মধ্যে দেশের ক্রেডিট রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। খোলাবাজারের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহকারীদের পেট্রোবাংলার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে এবং খরচ কমবে। বিলম্ব সুদ পরিশোধ করার ঝামেলা থাকছে না। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা) জরিমানা পরিশোধ করা হয়েছে।