Thank you for trying Sticky AMP!!

হাইকোর্ট ভবন

তিন মাসের মধ্যে সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ

সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি দখলে রেখেছেন, তা পরিত্যক্ত উল্লেখ করে ওই সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে তাঁকে ওই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। ওই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Also Read: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির নথি ও প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা), দখলসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (অ্যাফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তথ্যাদি দাখিল করে।

এ-সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষে পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্টে রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক ও সৈয়দ সায়েদুল হক, সালাম মুর্শেদীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।