আমানতের সুরক্ষায় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স

দেশে ধারাবাহিকভাবে ২০ বছর ধরে ‘ট্রিপল–এ’ স্বীকৃতি অর্জনকারী একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স
ছবি: ডিবিএইচের সৌজন্যে

টানা ২০ বছর ধরে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল–এ’ অর্জন করার মাধ্যমে অনন্য রেকর্ড গড়েছে দেশের হাউজিং ফাইন্যান্স খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। এই স্বীকৃতি সামগ্রিকভাবে দেশের আর্থিক খাতে এক অনন্য অর্জন। পাশাপাশি দেশে ধারাবাহিকভাবে ২০ বছর ধরে ‘ট্রিপল–এ’ স্বীকৃতি অর্জনকারী একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স।

১৯৯৭ সাল থেকে গৃহঋণ প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছে ডিবিএইচ। দীর্ঘ ২৮ বছরে প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের হার কখনো ১ শতাংশ অতিক্রম করেনি। বর্তমানে যেখানে অ–ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের গড় হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ, সেখানে ডিবিএইচের খেলাপি ঋণ ১ শতাংশের কম এবং এই খেলাপি ঋণের হার বড় ধরনের কোনো ঋণ অবলোপন ছাড়াই। যাত্রা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ডিবিএইচের বিতরণ করা ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ মাত্র ৯৪ লাখ টাকা। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অনুযায়ী ঋণ দিয়ে থাকে ডিবিএইচ। পাশাপাশি গ্রাহকের প্রদত্ত তথ্য, পরিসংখ্যান, জামানত ও সদিচ্ছা সঠিকভাবে যাচাই করা হয়। তাই খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম।

ক্রেডিট রেটিং বলতে যা বোঝায়

ক্রেডিট রেটিং হলো একটি ঋণযোগ্যতা নির্দেশক র‌্যাঙ্কিং, যা নির্দেশ করে একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দায় পূরণের সামর্থ্য। একটি স্বাধীন ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাগত ও গুণগত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট রেটিং দেয়। ক্রেডিট রেটিংয়ের সর্বোচ্চ ধাপ হলো ‘ট্রিপল–এ’। এই রেটিং মূলত সেসব প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া হয়, যাদের আর্থিক সক্ষমতা অত্যন্ত মজবুত, ঝুঁকি সর্বনিম্ন ও আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণের সক্ষমতা প্রশ্নাতীত। ফলে এই রেটিং আমানতকারীদের জন্য তাঁদের কষ্টার্জিত আমানতের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স ১৬টি শাখার মাধ্যমে সব বিভাগীয় শহরে গ্রাহকসেবা প্রদান করছে

ডিবিএইচের ক্রেডিট রেটিং

পরপর ২০ বছর ‘ট্রিপল–এ’ রেটিং অর্জনের মাধ্যমে ডিবিএইচ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী ও নিরাপদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই রেটিং প্রমাণ করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচের সুদৃঢ় আর্থিক সক্ষমতা, সম্পদের উৎকৃষ্ট মান, ন্যূনতম খেলাপি ঋণের হার, দক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা ও সুশাসন, বিচক্ষণ তারল্য ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদ ও মুনাফার প্রবৃদ্ধিতে স্থিতিশীল ধারাবাহিকতা। এই অর্জন বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিবিএইচ ফাইন্যান্সকে বিশেষভাবে আলাদা করেছে।

ডিবিএইচের সাফল্য

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডিবিএইচের রয়েছে সমৃদ্ধ সাফল্য। সেগুলো হলো ৬১ হাজারের বেশি গ্রাহককে ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি গৃহঋণ, মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বেশি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ শতাংশের কম। খেলাপি ঋণের এ পরিমাণ দেশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিবিএইচের ডিপোজিটের স্থিতি প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৬টি শাখার মাধ্যমে সব বিভাগীয় শহরে গ্রাহকসেবা প্রদান করছে। কেবল প্রচলিত হোম ফাইন্যান্স স্কিম নয়, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী রয়েছে ইসলামিক ফাইন্যান্স উইন্ডো (আইএফডব্লিউ), যা শরিয়াহ আইন অনুসারে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে। এ সেবায় গ্রাহকদের জন্য টার্ম ডিপোজিট, মুদারাবা আমানত ও ডিপিএস স্কিমসহ নানা ধরনের বিনিয়োগ পণ্য চালু রয়েছে।

সমৃদ্ধ সাফল্য ও ক্রেডিট রেটিং অর্জনকারী ডিবিএইচ দেশের হাউজিং ফাইন্যান্সে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের আর্থিক খাতে গ্রাহকদের আমানতের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।