
মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঈদুল আজহার সময় বিপুলসংখ্যক কওমি মাদ্রাসা চামড়া লবণজাত করেছিল। কিন্তু সরকার এসব চামড়া নায্যমূল্যে বিক্রির কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবিলম্বে কমিশন গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত কওমি মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের উদ্যোগে সোমবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মধুপুরের পীর এ দাবি জানান। তিনি বলেন, যাদের অসতর্কতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে চামড়াশিল্পের বিপর্যয় ঘটেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য মধুপুরের পীরকে প্রধান উপদেষ্টা ও হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের লিয়াঁজো কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতি আবদুল আউয়াল, মুফতি মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, মুফতি মাসউদুল করীম, মাওলানা রশিদ আহমাদ, মুফতি ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি সাঈদ নূর, মুফতি সালাহ উদ্দিন ও মাওলানা হারুনুর রশিদ।
ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের প্রধান প্রতিনিধি ও যাদুরচর মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন মুফতি ফজলুল করীম কাসেমী ও মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী।
আলোচনা করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, হাজীপাড়া মাদ্রাসা নারায়ণগঞ্জের মুহতামিম মুফতি আবদুল আউয়াল, জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন সাভারের মুহতামিম মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, আফতাবনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলী, টঙ্গী দারুল উলুমের মুহতামিম মুফতি মাসউদুল করীম, মেরাজনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রশিদ আহমাদ, মুফতি সাঈদ নূর (পীর সাহেব মানিকগঞ্জ), জামিয়াতু ইব্রাহীম আ. ঝাউচরের মুহতামিম মুফতি জাহিদুল ইসলাম কাসেমী, দিলু রোড মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি সালাহ উদ্দিন, জামিয়া নূরিয়া কামরাঙ্গীরচরের শিক্ষক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, জামিয়াতুস সুফফাহ আমীনবাজারের মুহতামিম মুফতি আবদুল বারী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল ওয়াহহাব, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আনওয়ার হামিদী, মাওলানা আবদুল জলিল প্রমুখ।