জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলারি আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলারি আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে

জামালপুরে সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় সাংবাদিক, নিহতের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান, সহসভাপতি সোনা মিয়া, নিহত রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম এবং মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত।

বক্তারা বলেন, প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ এলাকার মানুষজনকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন। তিনি এলাকায় ফেরার পর আবারও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

প্রধান আসামির মুক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ২১ মাস পার হলেও এখনো বিচার হয়নি। মামলার প্রতিটি আসামি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা। প্রধান আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হলেও তাকে কেন ছাড়া হচ্ছে?’

গত বছরের ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানি। পরদিন ১৫ জুন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার তিন দিন পর, ১৭ জুন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মাহমুদুল আলম আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি এলাকায় নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।