
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তথ্যসংক্রান্ত ফরম (এসআইএফ) সংশোধন করে ‘বাবা’ অথবা ‘মা’ অথবা ‘আইনগত অভিভাবকের’ নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে রিট আবেদনকারী সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এসএসসি) অংশ নিতে শুধু মায়ের নাম দিয়ে ফরম পূরণ করে এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১৪ বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৪ জানুয়ারি ওই রায় দেন।
এর আগে ‘বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের লেখাপড়া’ শিরোনামে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ ২০০৯ সালে ওই রিট করে। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে ওই নির্দেশ দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ফলে অভিভাবকের ঘরে বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবক—এই তিন বিকল্পের যেকোনো একটি পরিচয় উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পারবে বলে রায় ঘোষণার দিন জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমার মা আমাকে বলেছেন আমার বাবা কে। তারপরও আমি বাবার নামটি রেজিস্ট্রেশন ফরমে লিখতে পারিনি। কারণ, ওই লোক আমার মা ও আমাকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমাকে সবাই বলেছিল, চুপ করে ওই লোকের নাম লিখে দিতে। আমি লিখিনি। আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ডও আসেনি। সেই সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডও এল না। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারলাম না।’