
‘আকিদায়ে খতমে নবুওয়ত’ বা শেষ নবীতে (সা.) বিশ্বাস মুসলমানদের ইমান। সুতরাং ‘খতমে নবুওয়ত’ না মানলে ইমান থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লন্ডন জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিনের পরিচালক মুফতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যুগে যুগে যারাই নবুওয়তের দাবি করেছে, তারা নিজেকে মুসলমানরূপে প্রকাশ করে নিজ দাবি প্রচারের চেষ্টা করেছে। কিন্তু উম্মতে মুহাম্মদি এ ব্যাপারে কোরআন-হাদিসের দিকনির্দেশনাপ্রাপ্ত হওয়ায় নবুওয়তের ভণ্ড দাবিদারকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বহিষ্কার করেছে।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত’ আয়োজিত খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে মুফতি সাইফুল ইসলাম এ কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের কার্যক্রম ও বই-পুস্তক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের নির্বাহী সভাপতি জুনাইদ আল হাবিব বলেন, কাদিয়ানিরা অমুসলিম নাগরিক হিসেবে এ দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, তবে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই নয়।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পঞ্চগড়সহ দেশের কোথাও তাদের সালানা জলসার নামে কোনো কর্মসূচি করতে না দেওয়ার দাবি জানান।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, যখনই কারও পক্ষ থেকে নবুওয়তের দাবি পাওয়া গেছে, তখনই উলামায় কেরাম সর্বসম্মতিক্রমে তাকে কাফের ঘোষণা করেছে। এর কারণ হলো, খতমে নবুওয়তের আকিদা এতটাই স্পষ্ট ও সর্বজন স্বীকৃত, এর খেলাফ যুক্তি-তর্ক সব প্রতারণার শামিল।
এই সম্মেলনে বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন খুরশিদ আলম কাসেমী, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, খলিলুর রহমান মাদানী, আহমদ আলী কাসেমী, সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
সম্মেলনে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রথম কিবলা ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসার ইমাম শায়েখ আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আয়োজকেরা জানান, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আসতে পারেননি।