Thank you for trying Sticky AMP!!

‘অধিকার’–এর নিবন্ধন নবায়ন করল না এনজিও ব্যুরো

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ‘অধিকার’–এর নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করেছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। গতকাল রোববার ব্যুরোর পরিচালক (নিবন্ধন ও অডিট) জিনাত আরার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আবেদন নামঞ্জুরের কথা জানানো হয়। নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে অধিকারের একটি রিটের বিষয়ে হাইকোর্টের রুলের ওপর এখন শুনানি চলছে। এর মধ্যেই সংগঠনটির আবেদন নামঞ্জুর করা হলো।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম আজ সোমবার প্রথম আলোকে অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আদালতে “অধিকার”–এর আবেদনের মূল বিষয় (কজ অব অ্যাকশন) ছিল নবায়নের আবেদন নিষ্পত্তি করা। আমরা তা করেছি। আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এবং আমাদের আইন কর্মকর্তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই এটি করা হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নবায়নের জন্য অধিকার ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এনজিওবিষয়ক ব্যুরোতে আবেদন করে। তবে নবায়ন না হওয়ায় অধিকারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কেন নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে না, সেই মর্মে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। অধিকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে জানান, এখনো পর্যন্ত সেই রুলের শুনানি চলছে। আগামী বুধ অথবা বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যুরোর পক্ষ থেকে চাওয়া তথ্য না দেওয়া, নতুন আইনে আরোপিত বর্ধিত ফি ও ভ্যাট না দেওয়া, বৈদেশিক প্রকল্পের আটটি অডিট রিপোর্টের ওপর তোলা আপত্তির কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তিনটি প্রকল্পের কার্যক্রমসংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের অসংগতির বিষয়ে ব্যুরোর পক্ষ থেকে চাওয়া তথ্য দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত বিভিন্ন হত্যার বিষয়ে অধিকারের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। এতে বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করে।’

এনজিও ব্যুরোর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ সকল কারণে সংস্থার সার্বিক কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় মর্মে ব্যুরোর কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬ এর ধারা ৪(৪) অনুযায়ী অধিকারের করা নিবন্ধন নবায়নে আবেদনপত্রে অসংগতি ছিল। এ ছাড়া সময়-সময় চাওয়া তথ্যের সঠিক জবাব বা ব্যাখ্যা ও কাগজপত্র দাখিল করেনি সংগঠনটি। এ ছাড়া রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অধিকারের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। তাই তাদের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিকারের নির্বাহী পরিচালক নাসির উদ্দিন সংগঠনের বক্তব্যের জন্য আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেন। রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, রুলের ওপর শুনানি আছে। তখন তাঁরা আদালতের কাছে এই প্রসঙ্গ তুলবেন।