Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকে পঙ্গু হাসপাতালে

>সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মাঝামাঝি বগিতে ঢুকে পড়ে তূর্ণা নিশীথা। অধিকাংশ যাত্রী তখন গভীর ঘুমে। বাকিদের চোখেও ঘুম ঘুম। হঠাৎ বিকট শব্দ। ট্রেনের বগি লাফিয়ে উঠে যায় কয়েক ফুট ওপরে। দুমড়েমুচড়ে যায় বগি। চারদিকে শুরু হয় চিৎকার। ওঠে কান্নার রোল। দুই ট্রেনের সংঘর্ষে চিরঘুমে চলে গেলেন ১৬ যাত্রী। আহত হন শতাধিক যাত্রী। আহতদের অনেকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রেও (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছেন। পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত ট্রেন যাত্রীদের ছবিগুলো আজ বুধবারের।
দুর্ঘটনায় আহত শাহিদা আক্তারের পাশে তাঁর নানি সুরাইয়া খাতুন। কিছুক্ষণ পরপরই ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
নাজমা বেগম হারিয়েছেন ছোট্ট মেয়ে সোহাকে। নিজে ভর্তি হাসপাতালে। তাঁর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে একমাত্র ছেলে নাফিজ।
দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ফারজানাকে। হাসপাতালের বিছানায় প্রলাপ বকছেন মা রোজিনা।
সোহেল মিয়া শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। তাঁর পেট, কোমরে ও দুই পায়ে আঘাত।
আহত একজনকে পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসক দল।