সেলিব্রিটির অভিনয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম: নাসির

ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ।
ফাইল ছবি

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা এবং পুলিশের করা মাদকের মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ বলেন, ‘বড় রকমের ভিকটিম হলাম। কোনো দিন হাজত দেখিনি। রিমান্ডে ১২ দিনসহ ১৮ দিন জেল-হাজতে কাটিয়েছি। সত্যিকারে অন্যায় করলে আফসোস ছিল না। আশা করি তদন্তকারী সংস্থা সঠিক বিষয়টি তুলে আনবে।’

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান। আজ শনিবার বিকেলে নাসির প্রথম আলোর সাংবাদিকসহ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। ঢাকার প্রথম বিভাগের ফুটবলার ছিলাম। উত্তরা ক্লাবের তিনবার সভাপতি ছিলাম। একজন ব্যবসায়ী। আমাকে আটক করার পরও কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।

নাসির ইউ মাহমুদ ও অমি

একজন সেলিব্রিটির অভিনয়ে আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।’
বিমানবন্দর থানায় পুলিশের করা মাদকের মামলা থেকে নাসির ইউ মাহমুদ গত বুধবার জামিন পান। আগের দিন একই আদালত পরীমনির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরীমনি

পরীমনির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে মাদকসহ আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই বিমানবন্দর থানায় পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করে। পরে তাঁদের পরীমনির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দিন সকালেই পরীমনি সাভার থানায় একটি মামলা করেন। তাতে নাসির, তুহিনসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে পরীমনি গত ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন।