র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
কর্মসূচি থেকে তিন দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো বাস ও ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, তথাকথিত জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির নামের অপব্যবহার করে শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধ করা এবং জুলাই সহযোদ্ধাদের হুমকিদাতা ও হেনস্তাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা ও সন্ত্রাস, এক সাথে চলে না’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ট্যাগিংয়ের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘লীগের কমিটি মানি না, মানব না’, ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান বলেন, কোনো শিক্ষার্থী অপরাধ করলে তাঁর বিচার করার অধিকার কেবল প্রশাসনের। কিন্তু এখন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ কমিটির নামে কিছু নেতা নিজেরাই বিচারকাজ শুরু করে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অন্যায়।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রকল্যাণ সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় বাস পরিবহন ‘নোঙর’ থেকে দুই শিক্ষার্থীকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নামে বহিষ্কার করা হয়; যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।