Thank you for trying Sticky AMP!!

মানবাধিকার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে দৃক গ্যালারিতে ‘রেজ অ্যান্ড হোপ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে সম্মাননাপত্র হাতে আলোকচিত্রীরা। গতকাল রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে

ছবির শক্তি শব্দের চেয়ে অনেক বেশি

হুইলচেয়ারে বসে থাকা প্রতিবন্ধী মানুষটি পুলিশের লাথিতে পড়ে গেছেন পথে, রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষে আটকে রয়েছে দুটি মরদেহ অথবা চা–বাগানে পুলিশের মুখোমুখি নারী শ্রমিকেরা—দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন অনেক ছবি প্রদর্শিত হলো ‘রেজ অ্যান্ড হোপ’ নামের প্রদর্শনীতে।

মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথে দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় পাঁচ দিনের এই প্রদর্শনী।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। প্রদর্শনীটি আলোকচিত্রীদের এমন একটি জায়গা দিয়েছে, যেখানে তাঁদের কাজের মাধ্যমে উঠে এসেছে নারী অধিকার আন্দোলন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়, শিক্ষার্থী, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ নানা বিষয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, বর্তমান পৃথিবীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার সমান অধিকার যা স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, শান্তি ও মূল্যবোধের ভিত্তি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকার রক্ষা করা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার, মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান বলেন, শব্দের থেকে ছবি অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই সব কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী ছবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার রানা প্লাজা ধ্বংসের পর তাঁর তোলা একটি ছবির অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, দশ বছর আগে সে মুহূর্ত সে বাস্তবতাটা কখনো ভুলতে চাই না।

ছবি তোলা এবং সে ছবি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেন আলোকচিত্রী আবদুল গনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী, আলোকচিত্রী ও দেশি–বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানেরা। সমাপনী দিনে আলোকচিত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননাপত্র।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস (ইউএনআরসিও) এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরির যৌথভাবে পাঁচ দিনের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ‘রেজ অ্যান্ড হোপ’ অর্থাৎ ‘ক্রোধ ও আশা’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল গত চার দশক সময়ের মধ্যে তোলা মানবাধিকার বিষয়ক ২৯টি আলোকচিত্র, একটি অডিও ইনস্টলেশন ও একটি ভিডিও ইনস্টলেশন।